ভুপিন্দর সিংহ হুড়ার বাড়িতে সিবিআই তল্লাশি। —ফাইল চিত্র
হরিয়ানায় অ্যাসোসিয়েটেড জার্নালকে (এজেএল) জমি বণ্টন কেলেঙ্কারিতে প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ভুপেন্দ্র সিংহ হুডার বাড়িতে তল্লাশি চালাল সিবিআই। শুধু তাঁর বাড়িতেই নয়, দিল্লি এবং সংলগ্ন অন্তত ৩০টি জায়গায় তল্লাশি চালিয়েছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। ন্যাশনাল হেরাল্ডের অধীন অ্যাসোসিয়েটেড জার্নালের পরিচালন বোর্ডের সদস্যদের মধ্যে অন্যতম কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গাঁধী এবং সনিয়া গাঁধী।
সিবিআই সূত্রে খবর, শুক্রবার সাত সকালেই তদন্তকারী অফিসাররা পৌঁছে যান হুডার রোহতকের বাসভভনে। সেই সময় হুডাও বাড়িতেই ছিলেন। তাঁর উপস্থিতিতেই দীর্ঘক্ষণ ধরে তল্লাশি চালান গোয়েন্দারা। বেশ কিছু নথিপত্র বাজেয়াপ্ত করা হয় বলে সিবিআই সূত্রে দাবি। এক যোগে অভিযান চলে দিল্লি এবং জাতীয় রাজধানী অঞ্চলের অফিস ও বাড়ি মিলিয়ে অন্তত ৩০টি জায়গায়। এই সব জায়গা থেকেও প্রচুর নথিপত্র নিয়ে যান সিবিআই আধিকারিকরা।
হুডার বিরুদ্ধে অভিযোগ, ২০০৫ সালে মুখ্যমন্ত্রী থাকাকালীন অ্যাসোসিয়েটেড জার্নালকে কয়েক কোটি টাকার একটি জমি মাত্র ৫৯ লাখ টাকায় বেআইনি ভাবে পুনর্বণ্টন করেন তিনি। সেই সময় হরিয়ানা নগর উন্নয়ন পর্ষদের চেয়ারম্যানও ছিলেন হুডা। সরকারি কোষাগারের বিপুল আর্থিক ক্ষতি করে ওই জমি দান করা হয় বলেও অভিযোগ। পর্ষদের আধিকারিকরা নিষেধ করলেও হুডা সেই সময় তাতে আমল দেননি বলেও অভিযোগ ওঠে।
আরও পড়ুন: টাকা নিয়ে আত্মসাৎ করার অভিযোগে গ্রেফতার প্রযোজক শ্রীকান্ত
আরও পডু়ন: প্রাথমিকে প্রশিক্ষিত শিক্ষক নিয়োগের নির্দেশ সুপ্রিম কোর্টের, জোর ধাক্কা রাজ্য সরকারের
পরবর্তীকালে ২০১৬ সালে প্রথম এই মামলায় তদন্ত শুরু করে হরিয়ানার ভিজিল্যান্স ব্যুরো। বিজেপির মুখ্যমন্ত্রী মনোহরলাল খট্টর এই জমি হস্তান্তরের তদন্তভার সিবিআই-এর হাতে দেন। এর পর ২০১৬ সালে এফআইআর দায়ের করে সিবিআই। হুডার বিরুদ্ধে ফৌজদারি ষড়যন্ত্র, ক্ষমতার অপব্যবহারের মতো একাধিক ধারায় মামলা দায়ের হয়। সেই মামলাতেই তদন্ত করছে কন্দ্রীয় এই সংস্থা।
যদিও এই জমি অ্যাসোসিয়েটেড জার্নালকে প্রথম দেওয়া হয় ১৯৮২ সালে। কিন্তু জমি দানের শর্ত অনুযায়ী দীর্ঘদিন কোনও নির্মাণ কাজ না করায় ১৯৯৬ সালে সেই জমি অ্যাসোসিয়েটেড জার্নালের কাছ থেকে ফর নিয়ে নেয় হরিয়ানা সরকার। এর পর ভুপিন্দর সিং হুডা মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার পর ফের সেই জমি দেওয়া হয় ওই সংস্থাকে।
(ভারতের রাজনীতি, ভারতের অর্থনীতি- সব গুরুত্বপূর্ণ খবর জানতে আমাদের দেশ বিভাগে ক্লিক করুন।)
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy