নতুন বছরে নিজের অনুপ্রেরণা হয়ে উঠুন নিজেই। ছবি- সংগৃহীত
নতুন বছরের শুরুটা নতুন ভাবে করতে চান সকলেই। শারীরিক সুস্থতার পাশাপাশি প্রয়োজন মানসিক দৃঢ়তারও। কিন্তু পরিস্থিতি তো সব সময় এক রকম থাকে না! তাই কোনও কোনও বিষয়ে মনখারাপ হওয়া অস্বাভাবিক নয়। কেউ কেউ আবার বেশি মাত্রায় সংবেদনশীল। তাই তাঁদের ক্ষেত্রে সমস্যা বেশি। বিশেষজ্ঞদের মতে, এই ধরনের সমস্যা কম-বেশি সকলেরই হতে পারে। কিন্তু তার জন্য মনখারাপ করে, নিঃসঙ্গতায় ভোগার কোনও মানে হয় না। নিজের পরিচিত, কাছের মানুষদের সঙ্গে কথা বললে জট অনেকটাই খুলে যায়। তবে অনেকেই আবার সকলের সঙ্গে সহজ ভাবে কথা বলতে পারেন না। তখন মনোবিদের সাহায্য নিতেই হয়। তবে মনোবিদের সাহায্য ছাড়াও নিজের মন থেকে কয়েকটি বিষয় ঝেড়ে ফেলে দিতে পারলে নিজেই এই সমস্যার সমাধান করতে পারেন।
কোন পাঁচটি বিষয় নিয়ে নিজেকে প্রশ্ন করা উচিত নয়?
১) আমি সব সময় ভুল করি
মানুষ ভুল করে এবং সেই ভুল থেকেই শিক্ষা নেয়। তাই ভুল করা ক্ষমার অযোগ্য কোনও অপরাধ নয়। সব চেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল, ভুল থেকে শিক্ষা নেওয়া। তবে প্রত্যেক কাজেরই বিপরীত প্রতিক্রিয়া থাকে। তাই ভুল করলে উল্টো দিক থেকে তার কেমন প্রতিক্রিয়া হবে, সে সম্পর্কে ওয়াকিবহাল থাকলেই ভাল।
২) বার বার অকৃতকার্য হই
জীবনে হারতে শেখা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। তবে সেই মানসিকতা থেকে বেরিয়ে আসতে পারাও জরুরি। তবে, যে বা যাঁরা ওই পরিস্থিতির মধ্যে দিয়ে গিয়েছেন, তাঁরা জানেন বিষয়টি বলা যত সহজ, কাজে করে দেখানো তত সহজ নয়। তবু হাল ছাড়া যাবে না।
৩) কেউ আমার কথা ভাবে না
এমন কিছু সময় বা পরিস্থিতি আসে যখন মনে হতেই পারে, আপনার পাশে কেউ নেই। আপনার কথা শোনার জন্য নির্ভরযোগ্য কোনও মানুষই নেই। যে মুহূর্তে কারও মনে এমন ভাবনার উদয় হয়, তখন থেকেই সমস্যা আরও বাড়তে থাকে।
৪) এই বিষয়ে কথা বলা উচিত না
যে কোনও পরিসরে কথা বলতে গেলেই মনে হয়, সকলেই আপনার কথা শুনে নিজের মতো করে আপনার সম্পর্কে কিছু ভেবে নেন। সেই কারণে হয়তো কথা বলাই বন্ধ করে দিয়েছেন। প্রথমত, কে কী বললেন, তা নিয়ে ভেবে সময় নষ্ট ছাড়া আদতে কোনও লাভ হয় না। দ্বিতীয়ত, আপনার পরিবার এবং কাছের মানুষ ছাড়া কেউ যদি আপনাকে নিয়ে বিপরীত কিছু ভেবেও থাকেন, তা নিয়ে মন খারাপ করে নিঃসঙ্গতায় ভোগার কোনও কারণ নেই।
৫) বাঁচতে অনীহা
কোনও কোনও ঘটনা মনে এমনই ছাপ ফেলে যায় যে, সেখান থেকে বেরিয়ে আসার চেয়ে মনে হয়, পৃথিবী ছেড়ে চলে যাওয়া অনেক সহজ। সেই ভাবনা থেকেই নানা রকম ঝুঁকিপূর্ণ কাজও করে ফেলেন অনেকে। এ ক্ষেত্রে নিজেই নিজেকে বুঝিয়ে ফিরিয়ে আনা সম্ভব নয়। পরিচিত কারও সঙ্গে কথা বলতে ইচ্ছে না করলে অবশ্যই মনোবিদের পরামর্শ নিতে হবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy