মাসখানেক হল চারপেয়ে সদস্য ঘরে এসেছে। কয়েক দিন যেতে না যেতেই সে হয়ে উঠেছে বাড়ির অপরিহার্য সদস্য। তার ভাল থাকা নিয়ে ভাবনা সর্ব ক্ষণ।
মনুষ্যসন্তানের মতো সারমেয় শাবকের নিয়মিত শারীরিক পরীক্ষা জরুরি। নির্দিষ্ট বয়স থেকে শুরু হয় তাদেরও টিকাকরণ। বিভিন্ন রকম রোগ প্রতিরোধে র্যাবিস, ডিএইচপিপিআই, লেপ্টোস্পাইরোসিস-সহ একাধিক ভ্যাকসিন বা টিকা বয়স অনুযায়ী দেওয়া হয় চারপেয়েদেরও। জন্মের ছ’সপ্তাহ পর থেকেই শুরু হয় টিকাকরণ। চলে ১৬ সপ্তাহ পর্যন্ত।
পশু চিকিৎসকেরা বলছেন, টিকাকরণের পর সামান্য কিছু উপসর্গ কোনও কোনও কুকুরের ক্ষেত্রে দেখা দিতে পারে। হালকা জ্বর আসতে পারে। ইঞ্জেকশনের জায়গায় ব্যথাও হতে পারে। র্যাশ দেখা দেয় অনেক সময়।
আরও পড়ুন:
এই সময় কী ভাবে চারপেয়ে সদস্যকে সামলে রাখবেন?
১। গরম পড়ছে, ফলে এমনিতেই তাদের জল জাতীয় খাবার বেশি খাওয়ানো দরকার। টিকাকরণের পর সে জল খাচ্ছে কি না, খেয়াল রাখুন। তাদের সামনে পরিষ্কার পাত্রে জল রাখুন। বার বার জল খেলে শরীর ঠিক থাকবে। জল শরীর থেকে টক্সিন বা দূষিত পদার্থ বার করতে সাহায্য করবে।
২। খাওয়াতেও নজর দিন। হতেই পারে সে ঠিকমতো খেল না বা খেতে চাইছে না। বেশি জোর করার দরকার নেই। অবশ্যই পুষ্টিকর, সহজপাচ্য খাবার খেতে দেওয়া দরকার। স্বল্প পরিমাণে বারে বারে খাওয়াতে পারেন। টিকাকরণের পর এক বারে বেশি খাওয়ানো ঠিক নয়।
৩। টিকাকরণের পর সঙ্গে সঙ্গে তাকে স্নান করাতে যাবেন না। ইঞ্জেকশনের জায়গায় ব্যথা হতে পারে। তাই সে যাতে আরামে শুতে পারে, সেই ব্যবস্থা রাখুন। পোষ্যকে আদর করার সময় খেয়াল রাখতে হবে, যাতে ব্যথার জায়গায় আঘাত না লাগে।
৪। পোষ্য যদি একটু ঝিমিয়ে থাকে, তা হলে তাকে নিয়ে বেরোনো বা শারীরিক কসরত করানোর দরকার নেই। দু’দিন বিশ্রাম দিলে সে এমনিতেই ঠিক হয়ে যাবে।
উপসর্গ অল্পস্বল্প হলে ভাবনার কিছু নেই। তবে পোষ্যকে নজরে রাখা দরকার। জ্বর খুব বেশি হলে, বমি বা অন্য কোনও সমস্যা দেখা দিলে পশুচিকিৎসকের সাহায্য নেওয়া দরকার।