সন্তানের সঙ্গে আপনার দূরত্ব বাড়ছে কি? ছবি- সংগৃহীত
মা-বাবা হওয়া তো মুখের কথা নয়। সন্তানকে মানুষ করার দীর্ঘ এই পথে কোনও ভুলভ্রান্তি যে হয় না, তা-ও নয়। কিন্তু বিশেষজ্ঞরা বলেন, নিজেদের করা সেই ভুলগুলি থেকে শিক্ষা নিলে আদতে আগামীর পথ প্রশস্ত হয়। বাচ্চা মানুষ করার ক্ষেত্রে কম-বেশি প্রায় সব পরিবারেই এই সমস্যা দেখা যায়। বিশেষ করে যে সব অভিভাবক কর্মরত, তাঁদের ক্ষেত্রে এই সমস্যা বেশি। ঘরে-বাইরে নানা রকম কাজ সামলে, ধৈর্য ধরে বাড়ির ছোট্ট সদস্যদের কথা শোনার সময় না থাকতেই পারে। কিন্তু এর প্রভাব যদি সন্তানের উপর এসে পড়ে, তার মানসিকতার পরিবর্তন হওয়াও অস্বাভাবিক নয়।
হঠাৎ করেই যদি লক্ষ করেন, সন্তান আপনার সঙ্গে কথা বলতে কুণ্ঠা বোধ করছে, বা তার মধ্যে আড়ষ্টতা রয়েছে, সে ক্ষেত্রে দায় শুধু সন্তানের নয়। অভিভাবকদেরও ব্যবহারে বা আচরণে সমস্যা থাকতেই পারে।
আপনার কোন তিন অভ্যাস, সন্তানের সঙ্গে আপনার দূরত্ব বাড়িয়ে তুলতে পারে?
১) শাসন করা
অভিভাবক হিসাবে সন্তানকে শাসন করার অধিকার আপনার নিশ্চয়ই আছে। কিন্তু সারা ক্ষণ বকাবকি করলে সন্তানের মনে খারাপ প্রভাব পড়ে। কিছু শিখতে গেলে ভুল তো হবেই। বকুনি খাওয়ার ভয়ে তাদের মনের কথা চাইলেও কাউকে বলে উঠতে পারে না ছোটরা।
২) যথেষ্ট সময় না দেওয়া
অভিভাবক হিসাবে সন্তানকে যদি যথেষ্ট সময় না দেওয়া হয়, সে ক্ষেত্রেও খুদের সঙ্গে দূরত্ব বাড়তে পারে। ব্যস্ত জীবনে বাচ্চাদের ভাল লাগা, মন্দ লাগা, পছন্দ-অপছন্দগুলিকে গুরুত্ব না দিলে, তারাও কিন্তু হীনম্মন্যতায় ভোগে। কখনও কখনও তারা মনে করে মা-বাবার কাছে তাদের কথার কোনও গুরুত্বই নেই। সেই রাগ বা অভিমান থেকেও অনেক সময় নিজেদের গুটিয়ে রাখে তারা।
৩) তাদের প্রশ্নের উত্তর না দেওয়া
শিশুদের মনে সব বিষয় নিয়েই কৌতূহল তৈরি হয়। অবান্তর প্রশ্ন মনে করে অনেকেই বাড়ির ছোট্ট সদস্যটির প্রশ্ন এড়িয়ে যেতে চান। শিশুদের মনে তখনই সমস্যা শুরু হয়। তারা মনে করতেই পারে, বড়রা তাদের কথায় গুরুত্ব দিচ্ছেন না। অস্তিত্বের সঙ্কটে ভুগতে থাকে তারা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy