ওজন বাড়ার ক্ষেত্রে প্রথম থেকে সচেতন হোন। ছবি: শাটারস্টক।
শরীরে ওজন বাড়লে মনেও মেদ জমতে শুরু করে। কারণ রোগাটে শরীরে খাপ খায় এমন যত শখের পোশাক তখন আলমারিতে তুলে রাখতে হয়। আর এক বার ওজন বেড়ে গেলে, তা কমানো মোটেই সহজ নয়। বহু সুস্বাদু খাবারকে বিদায় জানিয়ে তখন কঠিন ডায়েট আর নিয়মিত শরীরচর্চা করা ছাড়া কোনও উপায় নেই।
কিন্তু কিছু ঘরোয়া উপায় রয়েছে, যা ব্যবহার করে ওজন কমানো যায়। এর মধ্যে অন্যতম হল রসুন। প্রত্যেক গৃহস্থ বাড়িতেই এর পাকাপাকি জায়গা থাকে। তাই বেশি খাটতে হয় না রসুনের খোঁজে। রান্নায় স্বাদ যোগ করতে এই রসুনের জুড়ি মেলা সত্যিই ভার। এ ছাড়াও এর অনেক গুণাগুণও রয়েছে।
রসুনে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন বি-৬, ভিটামিন সি, ফাইবার ও ক্যালশিয়াম থাকে। এ ছাড়া কার্বোহাইড্রেট, প্রোটিন, আয়রন, সোডিয়ামও থাকে রসুনে। তবে মশলাদার খাবারে রসুন খেয়ে ওজন কমানো যায় না। রসুন কী ভাবে খাবেন, তার উপরেই নির্ভর করে ওজন কমবে কি না।
আরও পড়ুন: তীব্র গরমে জলের অভাব হলেই বিপদ! প্রয়োজনের তুলনায় কতটা কম খাচ্ছেন জানেন?
সিঁড়ি ভাঙতে বা অল্প পরিশ্রমেই হাঁফ ধরছে? তলে তলে এই অসুখের কবলে পড়েননি তো!
রসুন ওজন কমালেও শক্তি প্রদান করে। এছাড়া রসুন খেলে অতিরিক্ত খাওয়ার ইচ্ছে বা খিদে পাওয়া থেকেও বিরত থাকা যায়। ফলে অতিরিক্ত খাওয়া থেকে ওজন বাড়ার সম্ভাবনাও কমে। রসুন হজম শক্তিকে ঠিক রাখতেও সাহায্য করে। কিন্তু এই উপকারিতাগুলি পেতে গেলে রসুন ঠিক করে খাওয়া প্রয়োজন। জানেন কী ভাবে খাবেন রসুন?
মেদ ঝরাতে রসুন রাখুন পাতে। ছবি: শাটারস্টক।
রসুনকে ৪৫ মিনিট ধরে ওভেনে রান্না করলে তার গুণগুলি কমে যায়। তাই রসুন কাঁচা হলে তার উপকারিতাও বেশি থাকে। সমস্ত গুণাগুণ পেতে গেলে সকালে একদম খালি পেটে কাঁচা রসুন খাওয়া উচিত। দুই থেকে তিনটে রসুনের কোয়া কুচি করে ১০ মিনিট রেখে দিন খোলা হাওয়ায়। তার পর জল দিয়ে খেয়ে ফেলুন। ওজন কমানোর জন্য সবচেয়ে কার্যকরী হল লেবুর রসের সঙ্গে রসুন খাওয়া। লেবুর রসের সঙ্গে এক কোয়া রসুন মিশিয়ে খেলেই ভাল ফল পাবেন। রসুনের সঙ্গে মধু মিশিয়ে খেলেও ভাল ফল পাবেন। একটু মধুর মধ্যে তিন থেকে চার কোয়া রসুন কুচি মেশান। এর পরে ভাল করে মিশিয়ে কিছুক্ষণ রেখে তার পরে খান।
প্রত্যেকের শরীরের গঠন ও প্রকৃতি এক রকমের হয় না। তাই রসুন থেকে কোনও প্রকার অসুখ বা অ্যালার্জির সম্ভাবনা থাকলে সাবধান হোন। দ্বিতীয়ত, ওজন কমাতে গিয়ে আবার অতিরিক্ত রসুন খেয়ে ফেলবেন না যেন, কোনও কিছুরই বাড়াবাড়ি ভাল নয়।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy