বিরাটের ট্যাটু-কাহিনি। ছবি: সংগৃহীত।
সদ্য সচিন তেন্ডুলকরের রেকর্ড ভেঙে এক দিনের ক্রিকেটে ৫০তম শতরান করেছেন তিনি। ২০২৩-এর ক্রিকেট বিশ্বকাপ যেন সত্যিই বিরাটময়! বাইশ গজে বিরাটের খেলা যেমন নজর কাড়ছে অনুরাগীদের, তেমনই বিরাটের পোশাক, স্টাইল স্টেটমেন্ট দেখেও তাঁর প্রেমে পড়ছেন তরুণীরা। বিরাটের শরীর জুড়ে রয়েছে একাধিক ট্যাটু। আপনি কি বিরাটের ভক্ত? তাঁর শরীরে মোট ক’টি ট্যাটু রয়েছে, কোন ট্যাটুর অর্থই বা কী, তা জানতে চান? বিরাটের শরীরে মোট ১২টি ট্যাটু রয়েছে এবং প্রতিটি ট্যাটুই কিন্তু অর্থবহ।
১) গড্স আই ট্যাটু: বিরাটের বাঁ কাঁধে রয়েছে গড্স আই ট্যাটু। এর অর্থ হল, যা-ই ঘটুক না কেন, ভগবান সব সময়ে আপনার কাজের উপর নজর রাখছেন।
২) সামুরাই ট্যাটু: বিরাটের বাঁ হাতের বাহুর উপর দিকে জাপানি যোদ্ধা সামুরাইয়ের ট্যাটু রয়েছে। সামুরাইদের চরিত্রের বৈশিষ্ট হল শৃঙ্খলা, সাহসিকতা, সততা, বিশ্বস্ততা। কোহলি নিজ জীবনেও এই মন্ত্রেই বিশ্বাসী। সেই কারণেই জাপানি সামুরাইদের নামে ট্যাটু করিয়েছেন তিনি।
৩) ২৬৯: ২০১১ সালের জুন মাসে ওয়েস্ট ইন্ডিজের কিংস্টনে ভারতীয় দলের হয়ে টেস্ট ক্রিকেটে অভিষেক ঘটেছিল বিরাটের। বিরাট হলেন ভারতীয় টেস্ট দলের ২৬৯তম ক্রিকেটার। সেই সংখ্যাই লেখা রয়েছে বিরাটের বাঁ হাতের আর একটি ট্যাটুতে। এটি হল কোহলির ‘টেস্ট ক্যাপ নম্বর’ ট্যাটু।
৪) ১৭৫: আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ২০০৮ সালে ভারতের হয়ে প্রথম বার শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে প্রথম এক দিনের ক্রিকেট খেলতে মাঠে নেমেছিলেন কোহলি। এক দিনের ফরম্যাটের কোহলি ১৭৫তম ভারতীয় ক্রিকেটার। বাঁ হাতে বিরাট ওডিআই ক্যাপ নম্বর’ ১৭৫ টাও লিখে রেখেছেন।
৫) মায়ের নাম: মা সরোজের নামেও ট্যাটু করিয়েছেন বিরাট। মায়ের প্রতি তাঁর ভালভাসা প্রকাশ পেয়েছে বাঁ হাতের উপরের দিকে করা সেই ট্যাটুতে।
৬) বাবার নাম: কোহলির বাবার নাম প্রেম কোহলি। বাবার নামের ট্যাটুও রয়েছে বিরাটের হাতে। ২০০৬ সালে প্রয়াত হয়েছেন কোহলির বাবা।
৭) শিবের ট্যাটু: ভগবান শিবের নামেও একটি ট্যাটু রয়েছে কোহলির। কোহলি শিবভক্ত। তাই শিবের ট্যাটু বাঁ হাতের উপর দিকে করিয়েছেন কোহলি।
৮) মনাস্ট্রি ট্যাটু: কোহলির বাঁ হাতে আঁকা রয়েছে মনাস্ট্রি। বিরাটের বাঁ হাতের এই ট্যাটুটি শক্তি ও শান্তির প্রতীক।
৯) ট্রাইবাল আর্ট ট্যাটু: বিরাটের হাতে ট্রাইবাল বা আদিবাসী মানুষের মুখ আঁকা। এই ট্যাটুটি বেশ পুরোনো।
১০) স্করপিও: বিরাটের রাশি হল কর্কট। ক্রিকেটারের ডান হাতে ইংরেজি হরফে লেখা স্করপিও।
১১) ওম: এই শব্দটিকে ঐশ্বরিক শক্তির প্রতীক হিসাবে গণ্য করা হয়। কোহলির হাতে লেখা রয়েছে ওম। আত্মতুষ্টি যাতে তাঁকে সহজে গ্রাস না করতে পারে, তাঁর মধ্যে যাতে অহংবোধ না আসে সে কারণেই এই ট্যাটু করিয়েছেন কোহলি। এই ট্যাটু বিরাটের আধ্যাত্মিক দিকের পরিচয় দেয়।
১২) ডট ওয়ার্ক ট্যাটু: এই ট্যাটুটি সদ্য করিয়েছেন বিরাট। ফুলেল আকারের এই ট্যাটুটিও বিরাটের আধ্যাত্মিকতার প্রতীক।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy