সময় পেলেই বাড়িতে বিরিয়ানি রাঁধেন। তাই যাবতীয় মশলাপাতি হেঁশেলে সব সময় মজুত থাকে। কিন্তু কেশর কিনতে গেলেই সাত-পাঁচ ভাবতে হয়। ওই জিনিসটি যে বড্ড দামি!
ভাল মানের কেশর মধ্যবিত্তের নাগালের বাইরে। তাই রাঁধুনিরা কেশরের বদলে বিরিয়ানিতে রাসায়নিক দেওয়া হলুদ রং ব্যবহার করেন। তাতে আসল কেশরের মতো ঘ্রাণ পাওয়া যায় না ঠিকই, কিন্তু রং ভালই হয়। তবে এই ধরনের রাসায়নিক দীর্ঘ সময় ব্যবহার করা শরীরের জন্য ভাল নয়। তা থেকে ক্যানসারের মতো রোগ হওয়ার আশঙ্কা থাকে। তবে কেশরের বিকল্প হিসাবে তুলনায় সস্তা ভেষজ কিছু জিনিস ব্যবহার করা যায়। জেনে নিন সেগুলি কী কী।
আরও পড়ুন:
১) গাঁদাফুলের পাপড়ি:
কেশরের হলুদ রঙের সঙ্গে গাঁদাফুলের অনেকটা মিল রয়েছে। এই ফুলের পাপড়ি শুকিয়ে ভেষজ রং তৈরি করেন অনেকে। পোশাকে সেই রং দিয়ে নানা রকম ছাপ তোলা হয়। এখন চায়েও এই ফুলের পাপড়ি মেশানোর চল হয়েছে। কেশরের বদলে দুধে গাঁদাফুলের শুকনো পাপড়ি মেশালে একই রকম কাজ হবে।
২) গুঁড়ো হলুদ, প্যাপেরিকা:
রান্নায় বিশেষ রং আনার জন্য কেশরের বদলে গুঁড়ো হলুদ কিংবা প্যাপেরিকা পাউডার ব্যবহার করতে পারেন। যদিও কাঁচা হলুদের গন্ধ গুঁড়োর মধ্যেও থাকে। তবে রান্নার গুণে সেটুকু এড়িয়ে চলা যায়। বিরিয়ানি, পোলাও কিংবা হলুদ রঙের কোনও মিষ্টিতে কেশরের বিকল্প হিসাবে এই মশলা দু’টি ব্যবহার করতে পারেন।
৩) স্যাফফ্লাওয়ার বা কুসুম ফুল:
সানফ্লাওয়ার বা সূর্যমুখীর সঙ্গে অনেকেই স্যাফফ্লাওয়ারকে গুলিয়ে ফেলেন। কিন্তু সূর্যমুখী আর স্যাফফ্লাওয়ার বা কুসুম ফুল কিন্তু এক নয়। তবে সূর্যমুখীর মতোই স্যাফফ্লাওয়ারের বীজ থেকে ভোজ্য তেল পাওয়া যায়। আর এই ফুলের পাপড়ি শুকিয়ে ব্যবহার করা হয় ভেষজ হিসাবে। গাঁদার মতোই কেশরের রঙের সঙ্গে স্যাফফ্লাওয়ারেরও মিল রয়েছে। তাই এই ফুলের শুকনো পাপড়ি রান্নায় কেশরের বিকল্প হিসাবে ব্যবহার করা যায়।