দাগহীন ঝকঝকে ত্বক। মসৃণ চুল। নির্মেদ চেহারা। কোরিয়ার পুরুষ-মহিলাদের এমন রূপই এখন চর্চিত। ওটিটি প্ল্যাটফর্মের দৌলতে কোরিয়ার একাধিক সিনেমা, নাটক, সিরিজ় দেখে সেই দেশের নায়ক-নায়িকাদের রূপ-সৌন্দর্যে আরও বেশি আকৃষ্ট হচ্ছেন কেউ কেউ। কী ভাবে তাঁরা এত সুন্দর, জানতে চান অনেকেই। শোনা যায়, কোরিয়ার বাসিন্দারা নাকি রূপচর্চায় প্রাকৃতিক উপাদানে ভরসা রাখেন। তাঁদের মতো কী ভাবে প্রাকৃতিক উপকরণ দিয়ে চুলে জেল্লা ফেরাবেন?
১। কোরিয়ানদের রূপচর্চায় চালের জল থাকে বলে শোনা যায়। মাথায় খুশকি থাকলে বরং বেছে নিন গ্রিন টি আর চালের জলের মিশ্রণ। ঈষদুষ্ণ জলে গ্রিন টি ব্যাগ ভিজিয়ে রাখুন। জল ঠান্ডা হলে মিশিয়ে নিন সম পরিমাণ চাল ভেজানো জল। দু’টি উপকরণ স্প্রে বোতলে মিশিয়ে নিন। পরিষ্কার চুলে সেটি ব্যবহার করুন। মাথার ত্বক থেকে চুলে মেখে আধ ঘণ্টা রেখে ধুয়ে ফেলুন।
আরও পড়ুন:
২। ক্যামোমাইল চা স্বাস্থ্যের পক্ষে খুব উপযোগী। বেশ কিছু দিন আগে পর্যন্ত এ নিয়ে খুব কম লোকেই জানতেন। তবে এখন জানার পরিধি বাড়ছে। অনলাইনের দৌলতে ঘরে বসেই তা পাওয়া যাচ্ছে। ক্যামোমাইল চা তৈরি করে ঠান্ডা করে নিন। এতে দিন কয়েক ফোঁটা ল্যাভেন্ডার অয়েল। মিশ্রণটি স্প্রে বোতলে ভরে রাখুন। স্নানের আধ ঘণ্টা আগে তা ব্যবহার করে, শ্যাম্পু দিয়ে চুল ধুয়ে নিন।
৩। চুলের জন্য ফারমেন্টেড রাইস ওয়াটার বা গেঁজিয়ে নেওয়া চালের জলও ভাল। চাল ধোয়া জল কৌটোয় ভরে দিন দুই রেখে দিলেই হবে। চালের জলের সঙ্গে মিশিয়ে নিন কয়েক ফোঁটা রোজ়মেরি এসেনশিয়াল অয়েল। মাথার ত্বকে ৩০ মিনিট লাগিয়ে রেখে চুল ধুয়ে নিন।
চুলের স্প্রে সপ্তাহে দু’দিন ব্যবহার করলেও রুক্ষ কেশে জেল্লা ফিরবে। নরম এবং মসৃণ হবে চুল। তবে নতুন কোনও কিছু ব্যবহারের আগে তা স্বল্প পরিমাণে লাগিয়ে দেখুন চুলে বা ত্বকে জ্বালা, চুলকানি, র্যাশ হচ্ছে কি না। কখনও কখনও কোনও একটি এসেনশিয়াল অয়েলে কারও অ্যালার্জি হয়। সেটা বুঝে নেওয়া প্রয়োজন।