‘ডাউটফুল ভোটার’ হওয়ার ভয়ে আত্মঘাতী হয়েছেন এক মহিলা— এমনই খবরে চাঞ্চল্য ছড়াল গোটা বরাকে। পুলিশ অবশ্য সে কথা স্বীকার করতে নারাজ।
আজ ভোরে কাছাড় জেলার সোনাই বিধানসভা আসনের দক্ষিণ মোহনপুরে এই ঘটনা ঘটে। পুলিশ জানায়, মৃতের নাম সায়বুন্নেসা লস্কর (৪৫)। রমজান মাস বলে গভীর রাতে ঘুম থেকে উঠে ছেলেমেয়ের জন্য রান্না করেন তিনি। খাওয়াদাওয়ার পর ফের সকলে ঘুমিয়ে পড়েন। সকালে উঠে মেয়ে তার মাকে রান্নাঘরে দড়ির ফাঁসে ঝুলতে দেখে।
সায়বুন্নেসার দুই ভাই ইসলামউদ্দিন ও মুসলিমউদ্দিন জানিয়েছেন, স্বামীহারা সায়বুন্নেসার দুই মেয়ে, এক ছেলে। এনআরসি নিয়ে ছেলেমেয়েদের কোনও সমস্যা নেই। বিপাকে পড়েছিলেন তিনি। বিবাহিত মহিলাদের এনআরসি-র জন্য বাবার কাগজপত্র দেখাতে হয়। সায়বুন্নেসার কাছে সে সব কাগজ ছিল, কিন্তু বাবা-মেয়ে সম্পর্কের কোনও প্রমাণ তাতে ছিল না। কারও কারও মুখে ওই মহিলা শুনেছিলেন, ম্যারেজ রেজিস্ট্রেশন সার্টিফিকেট হলেও কাজ চলবে। কিন্তু তাঁর কাছে ওই শংসাপত্র ছিল না। এ নিয়ে কয়েক দিন ধরেই চিন্তায় ছিলেন সায়বুন্নেসা। গত কাল তিনি প্রতিবেশীদের মুখে শোনেন— ধলাই থেকে ডি ভোটার সন্দেহে এক দম্পতিকে জেলে ঢোকানো হয়েছে। ঘরে ফিরে পরিজনদের সামনে তিনি বলেছিলেন, এনআরসি-র কাগজপত্র না দেখাতে পারলে জেলে কাটাতে হবে সারা জীবন। না হলে বাংলাদেশে পাঠিয়ে দেবে। এর পরই ভোরে এই কাণ্ড ঘটে। পুলিশের দাবি, প্রাথমিক তদন্তে এনআরসি-কে আত্মহত্যার কারণ বলে মনে হচ্ছে না। তদন্ত চলছে।
এনআরসি-র জাঁতাকলে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে নাগরিকদের আত্মহত্যার ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছে নাগরিকত্ব সুরক্ষা সংগ্রাম কমিটি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy