কিছু দিন আগে দিল্লিতে রাহুল গাঁধীর সঙ্গে দেখা সেরে তাঁর প্রতি আস্থাজ্ঞাপন করেছিলেন অন্ধ্রপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী। —ফাইল চিত্র।
বিরোধী জোট যদি জেতে তা হলে প্রধানমন্ত্রী কে হবেন, সেটা ভোটের পরেই ঠিক হবে। কিন্তু কংগ্রেসকে বাদ দিয়ে বিরোধী জোট দানা বাঁধবে না বলেই মনে করেন চন্দ্রবাবু নায়ডু।
কিছু দিন আগে দিল্লিতে রাহুল গাঁধীর সঙ্গে দেখা সেরে তাঁর প্রতি আস্থাজ্ঞাপন করেছিলেন অন্ধ্রপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী। আবার গত কাল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে দেখা করে তিনি বলেন, জোটের নেতৃত্ব দেওয়ার ক্ষমতা যে কোনও বিরোধী নেতারই রয়েছে। ফলে প্রশ্ন ওঠে রাহুল গাঁধী সম্পর্কে নিজের অবস্থান কি বদল করছেন নায়ডু?
আজ চন্দ্রবাবুর ব্যাখ্যা, ‘‘অবস্থান বদলের প্রশ্নই ওঠে না। রাহুল গাঁধী দেশের প্রধান বিরোধী দলের নেতা। ফলে তাঁকে বাদ দিয়ে বিরোধী জোট গড়া অসম্ভব। ঠিক যেমন ভাবে অন্য আঞ্চলিক দলগুলির নেতারাও বিরোধী জোটের পক্ষে গুরুত্বপূর্ণ। বিজেপিকে ক্ষমতাচ্যুত করতে হলে সকলে মিলে অভিন্ন কর্মসূচি নিয়ে এগোতে হবে। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থীর বিষয়টি সম্পূর্ণ স্বতন্ত্র। সেটা ভোটের পরেই ঠিক হবে।’’ এমনকি এ বারের বিরোধী জোটকে আনুষ্ঠানিক ভাবে ইউপিএ-থ্রি’র চেহারাও দিতে চান না নায়ডু।
কেন এই অবস্থান? চন্দ্রবাবুর মন্তব্য, ‘‘তা হলে শুরুতেই খেলা ভেস্তে যাবে। আগে বিরোধী জোটকে জিততে দিন। নেতা নিজে থেকেই চূড়ান্ত হয়ে যাবে। অতীতেও জনতা সরকার, সংযুক্ত মোর্চা (ইউনাইটেড ফ্রন্ট), এমনকি ইউপিএ সরকারের ক্ষেত্রেও এমন হয়েছে। এ বারও সহমতের ভিত্তিতে যে নাম উঠে আসবে তিনিই প্রধানমন্ত্রী হবেন।’’
সংসদের আসন্ন অধিবেশনের আগে বিরোধী নেতাদের বৈঠক হলে সেখানে যাতে রাহুল-মমতা দু’জনেই উপস্থিত থাকেন সেই চেষ্টাই করছেন চন্দ্রবাবু। সনিয়া গাঁধী এর মধ্যে মমতাকে ফোন করে দিল্লিতে আসার জন্য আমন্ত্রণ জানিয়েছেন।
চন্দ্রবাবু ইতিমধ্যেই জানিয়েছেন, ডিসেম্বরের শেষে অন্ধ্রের নয়া রাজধানী অমরাবতীতে সভা হবে। কেন্দ্রের বঞ্চনার বিরুদ্ধে অন্ধ্রে ‘ফাইট ফর জাস্টিস’ আন্দোলন শুরু করেছে টিডিপি। যা শেষ হবে ওই মহাসভার দিনে। সেখানে অন্য বিরোধী নেতাদের পাশাপাশি মমতাকেও আমন্ত্রণ জানিয়েছেন তিনি। বিরোধী ঐক্য মজবুত করতে ডিসেম্বরের মাঝামাঝি চেন্নাইয়ে করুণানিধির মূর্তি স্থাপন উপলক্ষে স্ট্যালিনের ডাকা সভাতেও উপস্থিত থাকবেন চন্দ্রবাবু। জানুয়ারি মাসে কর্নাটকে কংগ্রেসের কৃষক সমাবেশে চন্দ্রবাবু ও মমতাকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। এর পরে ১৯ জানুয়ারি ব্রিগেডের জনসভায় চন্দ্রবাবুকে উপস্থিত থাকার অনুরোধ করেছেন মমতা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy