ডিমা হাসাও জেলার ২৮টি গ্রামের বাসিন্দাদের জমি অধিগ্রহণ করেও, তার ক্ষতিপূরণ দেয়নি উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেল। সেই অভিযোগে লামডিং-শিলচর ব্রডগেজ রেললাইন অবরোধের হুমকি দিল এন সি হিলস ইন্ডিজেনাস স্টুডেন্ট ফোরাম।
আজ হাফলঙে ছাত্র সংগঠনটির সভাপতি ডেভিড কেভম সাংবাদিক বৈঠকে জানান, দু’বছর ধরে উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেলকে ডিমা হাসাওয়ের হারাঙ্গাজাও থেকে মাহুর পর্যন্ত ২৮টি গ্রামের পাঁচশোর বেশি পরিবারকে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার দাবি জানানো হচ্ছে। কিন্তু রেল বিভাগ তাতে সাড়া দিচ্ছে না। সংগঠনটির হুঁশিয়ারি, ১৫ অগস্টের মধ্যে রেল কর্তৃপক্ষ ক্ষতিপূরণ না দিলে লামডিং-শিলচর ব্রডগেজ লাইন অবরোধ করা হবে।
ডেভিড জানান, ব্রডগেজ নির্মাণকারী সংস্থাগুলি পাহাড় কেটে অনেক খেতের জমিও নষ্ট করেছে। পাহাড় কাটার জেরে নেমে আসা ধসে রেললাইন লাগোয়া অনেক বাড়ি, স্কুল, ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানও নষ্ট হয়েছে। ওই মাটিতে অবরুদ্ধ হয়েছে নদীর গতিপথ। তাতেও ক্ষতি হয়েছে গ্রামগুলির। তাঁর বক্তব্য, এ সব বিষয়ে কয়েক বার রেল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে ডিমা হাসাওয়ের জেলাশাসকের দফতরে বৈঠক হয়েছে। কিন্তু রেল বিভাগ কোনও পদক্ষেপ করেনি।
ডেভিড জানিয়েছেন, ৮ জুলাই মাঁলিগাওয়ে উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেলের অতিরিক্ত জেনারেল ম্যানেজার ও নির্মাণ শাখার মুখ্য প্রশাসনিক অফিসার অজিত পণ্ডিতের সঙ্গে তাঁরা দেখা করেছিলেন। ১৫ জুলাই হাফলংয়ে জেলাশাসক অমরেন্দ্র বরুয়ার উপস্থিতিতে রেল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে ফের ছাত্র সংগঠনের বৈঠক হয়। সেখানে রেল কর্তৃপক্ষ দ্রুত ২৮টি গ্রামের ক্ষতিগ্রস্ত বাসিন্দাদের ক্ষতিপূরণ দেওয়ার আশ্বাস দিয়েছিলেন। কিন্তু এখনও তা দেওয়া হয়নি।
তার জেরে এন সি হিলস ইন্ডিজেনাস স্টুডেন্ট ফোরাম ১৬ অগস্ট থেকে লামডিং-শিলচর ব্রডগেজ লাইন অবরোধ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy