Advertisement
০৬ নভেম্বর ২০২৪
National Image

ফের গোরক্ষকদের তাণ্ডব, গরু চোর সন্দেহে ঝাড়খণ্ডে দু’জনকে পিটিয়ে হত্যা

এর পরই শুরু হয় গণপিটুনি। চলতে থাকে এলোপাথাড়ি কিল-চড়-লাথি-ঘুসি। বাঁশ ও লাঠি দিয়ে দু’জনকে বেধড়ক পেটানো হয়।

প্রতীকী ছবি।

প্রতীকী ছবি।

সংবাদ সংস্থা
পটনা শেষ আপডেট: ১৩ জুন ২০১৮ ২২:৫৪
Share: Save:

ফের গোরক্ষকদের তাণ্ডব। এ বার ঝাড়খণ্ডে।

গরু চুরির অভিযোগে দু’জনকে নৃশংসভাবে পিটিয়ে খুন করল একদল স্বঘোষিত গোরক্ষকরা। গোড্ডা জেলার এই ঘটনায় জড়িত সন্দেহে চার জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছে পুলিশ।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে খবর, বুধবার ভোরে গোড্ডা জেলার একটি গ্রামে ঢোকে এক দল দুষ্কৃতী। তারা ১৩টি মোষ চুরি করে বলে অভিযোগ। মোষ নিয়ে যাওয়ার সময় কয়েকজন গ্রামবাসী দেখতে পান। তাঁরাই অন্য গ্রামবাসীদের ডেকে জড়ো করেন। তার পর ওই ১৩ জনকে তাড়া করে দু’জনকে ধরে ফেলেন।

আরও পড়ুন: নয়াপট্টির দুই যুবক অপহরণে পটনার মাফিয়াকে হেফাজতে চায় সিবিআই

এর পরই শুরু হয় গণপিটুনি। চলতে থাকে এলোপাথাড়ি কিল-চড়-লাথি-ঘুসি। বাঁশ ও লাঠি দিয়ে দু’জনকে বেধড়ক পেটানো হয়। এতেই থেমে না থেকে সংজ্ঞাহীন অবস্থায় একজনকে বাঁশে বেঁধে টেনে-হিঁচড়ে নিয়ে যাওয়া হয়। তার উপরই চলে মারধর। মারধরে ঘটনাস্থলেই দু’জনের মৃত্যু হয়। পরে পুলিশ গিয়ে মৃতদেহ উদ্ধার করে। কয়েক জন আবার মোবাইলে ঘটনার ভিডিয়ো তুলে রাখেন।

গোড্ডার পুলিশ সুপার রাজীবরঞ্জন সিং জানিয়েছেন, গ্রামবাসীরা গরু চোর সন্দেহে দু’জনকে ধরে গণপিটুনি দেয়। তাতেই মৃত্যু হয়েছে তাদের। মামলা দায়ের করে ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে। সন্দেহভাজন চার জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

আরও পড়ুন: ভিডিও ভাইরাল, পরিবার ফিরে পেলেন নব্বই বছরের বৃদ্ধ!

পুলিশ সূত্রে খবর, মৃতদের একজনের আগেও দুষ্কৃতী কার্যকলাপের রেকর্ড রয়েছে। অন্যজন তারই সহযোগী।
গত বছরের মে মাসেও শিশু চুরির অভিযোগে ঝাড়খণ্ডেরই পূর্ব সিংভূম জেলায় গণপিটুনিতে ছ’জনের মৃত্যু হয়। ওই ঘটনায় দেশ জুড়ে আলোড়ন ছড়ায়। ফের গণপিটুনিতে দু’জনের মৃত্যুতে তীব্র প্রতিক্রিয়া তৈরি হয়েছে নানা মহলে।

অন্য বিষয়গুলি:

Cow vigilante Lynching Jharkhand
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE