সুপ্রিম কোর্ট। —ফাইল চিত্র।
রীতিমতো গলার ফাঁস হয়ে উঠছে দলিতদের ক্ষোভ। সেই চাপের মুখেই নরেন্দ্র মোদী সরকারকে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হতে হয়েছিল। আর্জি ছিল, তফসিলি জাতি-জনজাতি নিপীড়ন প্রতিরোধ আইন লঘু করার রায় যেন পুনর্বিবেচনা করা হয়।
কিন্তু আপাতত খালি হাতেই ফিরতে হল মোদী সরকারকে।
সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতিরা আজ জানিয়ে দিলেন, তাঁরা মোটেই আইন লঘু করেননি। আইনের অপব্যবহার থেকে নিরীহদের সুরক্ষার বন্দোবস্ত করেছেন। তাই ২০ মার্চের রায়ে আপাতত কোনও স্থগিতাদেশের আর্জি খারিজ হয়ে গিয়েছে। তবে সব পক্ষের বক্তব্য শুনে ১০ দিন পরে এই মামলার ফের শুনানিতে রাজি হয়েছে শীর্ষ আদালত।
বিচারপতি এ কে গয়াল ও বিচারপতি উদয় উমেশ ললিতের বেঞ্চের মন্তব্য, ‘‘বিক্ষোভকারীরা হয়তো রায় পড়েই দেখেননি। ওঁরা জানেনই না, কী লেখা রয়েছে রায়ে। নিশ্চয়ই উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ভাবে তাঁদের উস্কানি দেওয়া হয়েছে। আমরা মোটেই ওই আইনের বিরুদ্ধে নই। আমাদের একমাত্র উদ্বেগ, যাতে নিরাপরাধের শাস্তি না হয়।’’ সরকার বিক্ষোভের চাপে আদালতের দরজায় কড়া নাড়লেও বিচারপতিরা প্রথমেই স্পষ্ট করে দেন, বিক্ষোভের কথা নয়, তাঁরা শুধু আইনি যুক্তি শুনবেন।
আরও পড়ুন:
চুপ কেন মোদী, প্রশ্ন রাহুলের
দলিত-আইনে গ্রেফতারি এড়ানোর শর্তে আপত্তি কেন্দ্রের
সুপ্রিম কোর্ট রায় দিলেও দলিতদের ক্ষোভের তির মোদী সরকারের দিকেই ঘুরে গিয়েছিল। তা থেকে বাঁচতে আইনমন্ত্রী রবিশঙ্কর প্রসাদের দাবি, কেন্দ্র এই মামলার শরিকই ছিল না। কিন্তু বাস্তব হল, কেন্দ্রের আইনজীবী এই মামলায় সওয়াল করেছেন। আজ কংগ্রেস ২০ মার্চের রায় তুলে ধরে দেখিয়েছে, মামলায় কেন্দ্রের আইনজীবী অংশ নিয়েছিলেন।
এজলাসেও আজ কেন্দ্রের ওই দাবির বিরোধিতা করেছেন এই মামলায় আদালতকে সাহায্যের দায়িত্বপ্রাপ্ত আইনজীবী অমরেন্দ্র শরণ। তাঁর যুক্তি, আইনের অপব্যবহার হচ্ছে বলে এত দিন কেন্দ্রই যুক্তি দিয়েছে। এখন বিক্ষোভের মুখে কেন্দ্র রায়ের সংশোধন চাইছে। কিন্তু আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা রাজ্যের দায়িত্ব। তার জন্য রায় স্থগিত হতে পারে না।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy