প্রতীকী ছবি।
প্রশ্নবাণের মুখে খোদ সিবিআই অধিকর্তা! এত লেট লতিফ কেন? সিদ্ধান্ত নিতে এত দেরি হয় কেন? যারা গড়িমসি করে, তাদের বিরুদ্ধে কি কোনও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়?
অন্ধ্রপ্রদেশ ও তেলঙ্গানা হাইকোর্টে অভিযুক্ত বেকসুর খালাস পেয়ে গিয়েছেন ২০১৭-র এপ্রিলে। সিবিআই সেই রায়ের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছে এ বছরের জুনে। ঠিক ১৪ মাস পরে। তাতেই বিচারপতি কুরিয়েন জোসেফের বেঞ্চে তোপের মুখে পড়েছে সিবিআই। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ, সিবিআই অধিকর্তাকে হলফনামা দিয়ে এর ব্যাখ্যা দিতে হবে। বিচারপতি কুরিয়েনের সাফ কথা, ‘‘আমরা মোটেই খুশি নই।’’
এতে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবীদের মনে পড়ে গিয়েছে সারদা মামলার কথা। এই মামলাতেও একাধিক অভিযুক্ত কলকাতা বা ভুবনেশ্বরের কোর্টে জামিন পেয়ে যাওয়ার অনেক পরে, সেই জামিন খারিজের আর্জি নিয়ে সুপ্রিম কোর্টে এসেছিল সিবিআই। তা নিয়েও সুপ্রিম কোর্টের প্রশ্নের মুখে পড়তে হয়েছে। তৃণমূল সাংসদ সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়ের ক্ষেত্রেই যেমন, গত বছরের মে মাসে তিনি জামিন পাওয়ার তিন মাস পরে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয় সিবিআই। এক বছর কেটে গেলেও সেই মামলার কোনও শুনানি হয়নি। সিবিআই-ও তাতে কোনও গরজ দেখায়নি।
তেলঙ্গানার মামলাতেও দুর্নীতি ও অপরাধমূলক ষড়যন্ত্রে অভিযুক্ত এক ব্যক্তি ২০১৭-র এপ্রিলে বেকসুর খালাস পাওয়ার পর, ২০১৮-র জুনে সুপ্রিম কোর্টে এসেছে সিবিআই। যা নিয়ে বিচারপতি কুরিয়েনের মন্তব্য, ‘‘সিবিআই যে রকম দেরি করে আবেদন করে, তাতে আমরা মোটেই খুশি নই। বারবার মনে করিয়ে দেওয়া সত্ত্বেও বোঝা যাচ্ছে, পরিস্থিতির উন্নতি হয়নি।’’ নরম কথায় বলে লাভ হচ্ছে না বলে এ বার সিবিআই অধিকর্তার কাছেই জবাবদিহি চেয়ে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ, ‘‘কেন এ রকম দেরি হয়, তার ব্যাখ্যা দিতে হবে। যাদের জন্য দেরি, তাদের বিরুদ্ধে কী ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে, এ রকম দেরি যাতে আর না হয়, তার জন্যই বা কী করা হচ্ছে, তা-ও জানাতে হবে।’’ সিবিআই সূত্রের ব্যাখ্যা, এক দিকে তদন্তের চাপ, অন্য দিকে যথেষ্ট অফিসারের অভাবের জন্যই এত দেরি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy