প্রধান বিচারপতি দীপক মিশ্র
চায়ের কাপে ক্ষোভের তুফান উঠল সুপ্রিম কোর্টে।
ফের প্রধান বিচারপতি দীপক মিশ্র সুপ্রিম কোর্টের অন্যান্য বিচারপতিদের ক্ষোভের মুখে পড়লেন। নরেন্দ্র মোদী সরকার কেন বিচারপতি কে এম জোসেফকে সুপ্রিম কোর্টের নবীনতম বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ করতে চাইছে— এই প্রশ্ন তুলে আজ বেশ কয়েক জন বিচারপতি প্রধান বিচারপতির কাছে ক্ষোভ জানালেন।
সূত্রের খবর, এঁদের মধ্যে বিচারপতি মদন বি লোকুর, বিচারপতি কুরিয়েন জোসেফের মতো কলেজিয়ামের প্রবীণ সদস্যেরা ছিলেন। সোমবার সকালে শুনানি শুরুর আগে সুপ্রিম কোর্টের লাউঞ্জে একসঙ্গে চা খান বিচারপতিরা। সেখানেই এই ঘটনা ঘটে।
প্রধান বিচারপতি তাঁদের আশ্বাস দেন, তিনি দ্বিতীয় প্রবীণতম বিচারপতি রঞ্জন গগৈয়ের সঙ্গে এ বিষয়ে আলোচনা করবেন। অ্যাটর্নি জেনারেলের সঙ্গেও কথা বলবেন। বিচারপতি গগৈ এদিন ছুটিতে ছিলেন। সূত্রের খবর, প্রধান বিচারপতি অ্যাটর্নি জেনারেল কে কে বেণুগোপালের সঙ্গে বৈঠক করে তাঁকে বিচারপতিদের উষ্মার কথা জানিয়ে দেন।
মঙ্গলবার সকালে বিচারপতি কে এম জোসেফ-সহ সুপ্রিম কোর্টের তিন নতুন বিচারপতির শপথগ্রহণের কথা। যাঁদের মধ্যে বিচারপতি জোসেফের নামই কলেজিয়াম সর্বপ্রথম কেন্দ্রের কাছে সুপারিশ করেছিল। কিন্তু আইন মন্ত্রক তাতে আপত্তি তোলে। বিরোধীদের অভিযোগ, উত্তরাখণ্ড হাইকোর্টের বিচারপতি হিসেবে তিনি রাষ্ট্রপতি শাসন খারিজ করে দিয়েছিলেন বলেই তাঁর নামে মোদী সরকারের আপত্তি। কলেজিয়াম ফের বিচারপতি জোসেফের নাম সুপারিশ করে। কিন্তু সঙ্গে বিচারপতি ইন্দিরা বন্দ্যোপাধ্যায় ও বিনীত সরণের নামও পাঠায়। কেন্দ্রের কাছ থেকে যখন তিনটি নামেই সবুজ সঙ্কেত আসে, তখন দেখা যায় বিচারপতি জোসেফের নাম শেষে রয়েছে।
সেই অনুযায়ী শপথগ্রহণের বিজ্ঞপ্তি জারি হয়েছে। সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতিদের এখানেই ক্ষোভ। কারণ নবীনতম হিসেবে বিচারপতি জোসেফ কোনও বেঞ্চের প্রধান হিসেবে কাজ করার সুযোগও দেরিতে পাবেন। যদিও তাঁর প্রধান বিচারপতি হওয়ার সুযোগ নেই।
আইন মন্ত্রক সূত্রের যুক্তি, বিচারপতি জোসেফ অন্য দু’জনের পরে হাইকোর্টে যোগ দিয়েছেন। সে কারণেই তাঁর নাম পরে রাখা হয়েছে। কংগ্রেস আজ লোকসভায় অভিযোগ তুলেছে, মোদী সরকার বিচারপতি নিয়োগে নানা ভাবে হস্তক্ষেপ করছে। ইন্দিরা জয়সিংহের মতো প্রবীণ আইনজীবীদের দাবি, বিচারপতি জোসেফকে তালিকায় উপরে তুলে আনা হোক। প্রধান বিচারপতির পক্ষে তা করা সম্ভাব কি না, তা নিয়ে অবশ্য অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতিরা দ্বিধাবিভক্ত।
প্রাক্তন প্রধান বিচারপতি আর এম লোধার যুক্তি, যেহেতু বিচারপতি জোসেফের নাম আগে সুপারিশ করা হয়েছিল, তাই তাঁর নামই বিচারপতিদের তালিকায় আগে থাকা উচিত। কিন্তু আর এক প্রাক্তন প্রধান বিচারপতি টি এস ঠাকুরের মত, একই দিনে একাধিক বিচারপতি শপথ নিলে হাইকোর্টে নিয়োগের ভিত্তিতেই তালিকায় নাম থাকা উচিত।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy