দীপক মিশ্র
ঘুরেফিরে প্রধান বিচারপতি দীপক মিশ্রকে সরানোর মামলাটি পৌঁছল সেই সুপ্রিম কোর্টেই। এই মামলা শোনার জন্য গঠন করা হল সাংবিধানিক বেঞ্চ।
রাজ্যসভায় কংগ্রেসের দুই সাংসদ প্রতাপ সিংহ বাজওয়া আর অ্যামি ইয়াজ্ঞিক আজ সুপ্রিম কোর্টে জানান, ইমপিচমেন্টের প্রস্তাবে ৫০ জন সাংসদের স্বাক্ষর থাকলে রাজ্যসভার চেয়ারম্যান বেঙ্কাইয়া নায়ডু তা খারিজ করতে পারেন না। সরাসরি তদন্ত কমিটি গঠন করে দেওয়াই তাঁর কাজ ছিল। প্রধান বিচারপতিকে পাশ কাটিয়ে দ্বিতীয় সিনিয়র বিচারপতি জাস্তি চেলমেশ্বরের বেঞ্চে এই আবেদন করা হয়। তারপরেই স্থির হয়েছে, কাল সকাল সাড়ে দশটায় পাঁচ বিচারপতিকে নিয়ে গঠিত সাংবিধানিক বেঞ্চে এই মামলার শুনানি হবে। এই বেঞ্চে প্রধান বিচারপতি যেমন নেই, তেমনই জানুয়ারি মাসে প্রকাশ্যে বিদ্রোহ করা চার বিচারপতিকেও রাখা হয়নি।
কংগ্রেস সাংসদদের হয়ে সওয়াল করে কপিল সিব্বল ও প্রশান্ত ভূষণ আজ জানান, প্রধান বিচারপতি ‘মাস্টার অব রোস্টার’ হলেও এই মামলার শুনানির নিয়ে তিনি সিদ্ধান্ত নিতে পারেন না। যেহেতু অভিযোগ তাঁরই বিরুদ্ধে। বিচারপতি চেলমেশ্বর কাল পর্যন্ত অপেক্ষা করতে বলেন। প্রধান বিচারপতি ও ‘বিদ্রোহী বিচারপতি’দের বাদ দিয়ে কে এই বেঞ্চ গঠন করলেন তা নিয়ে ধোঁয়াশা রয়েছে। বিরোধীদের অভিযোগ, প্রধান বিচারপতি দীপক মিশ্র নিজেই এই বেঞ্চ গঠন করেছেন।
কংগ্রেস সুপ্রিম কোর্টে গেলেও এই প্রস্তাবে স্বাক্ষর করেননি দলের রাজ্যসভার সাংসদ, প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংহ। দলের পক্ষ থেকে বলা হয়েছিল, প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীকে এই বিতর্ক থেকে বাইরে রাখা হয়েছে। আজ কর্নাটকের সাংবাদিক সম্মেলনে এই ব্যাপারে প্রশ্ন করা হলে মনমোহনও বলেন, ‘‘কপিল সিব্বল দক্ষতার সঙ্গে কাজ করছেন। আমি এই বিতর্কে ঢুকতে চাইছি না।’’ তবে রাজ্যসভার এক উচ্চপদস্থ আধিকারিক জানিয়েছেন, বেঙ্কাইয়া ১৯৬৮ সালের বিচারপতি তদন্ত আইন অনুযায়ী ইমপিচমেন্ট নোটিস খারিজের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। ওই আইন অনুযায়ী, কোনও বিচারপতির বিরুদ্ধে অভিযোগ নিয়ে রাজ্যসভার চেয়ারম্যান প্রাথমিক ভাবে নিশ্চিত হলে তবেই সেই অভিযোগ তদন্ত কমিটির কাছে পাঠানোর প্রশ্ন ওঠে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy