‘নমো অ্যাপ’ ডাউনলোড করলে মিলতে পারে নরেন্দ্র মোদীর সই করা বই। বিরোধীদের অভিযোগ, বইয়ের টোপ দিয়ে আসলে ‘নমো অ্যাপ’-এর গ্রাহক বাড়াচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী। যে অ্যাপ নিয়ে সংশয় এখনও দূর হয়নি।
মাসখানেকও হয়নি, রাহুল গাঁধীরা ‘নমো অ্যাপ’ মুছে ফেলার অভিযানে নেমেছিলেন। তাঁদের অভিযোগ ছিল, এই অ্যাপ গোপনে অডিয়ো, ভিডিয়ো-সহ মোবাইল গ্রাহকের সব তথ্য পাচার করছে বিদেশে। বিজেপি অবশ্য তখনই এ অভিযোগ খারিজ করে দাবি করে— রাহুল গাঁধী মুছতে বলার পরে ২ লক্ষের বেশি নতুন ডাউনলোড হয়েছে ‘নমো অ্যাপ’। সেই সংখ্যা আরও বাড়াতে চায় বিজেপি।
পড়ুয়াদের জন্য মোদী সম্প্রতি একটি বই লিখেছেন— ‘এগজ়াম ওয়ারিয়র’। প্রতি সপ্তাহে নানা বিষয় ধরে ছাত্র-ছাত্রীদের মতামত চাওয়া হচ্ছে। যেমন জানতে চাওয়া হচ্ছে, কী ভাবে সময় কাটাচ্ছেন পড়ুয়ারা। কিংবা এক ঘণ্টা মোবাইল-টেলিভিশন ছাড়া কাটানোর অভিজ্ঞতা কী। এঁদেরই এক জনকে প্রতি সপ্তাহে মোদীর স্বাক্ষর করা বই উপহার দেওয়া হবে। তবে শর্ত একটিই— ডাউনলোড করতে হবে ‘নমো অ্যাপ’। সম্প্রতি সিবিএসই প্রশ্ন ফাঁসের পরে তৈরি হওয়া ক্ষোভ কাটানো যে লক্ষ্য, অস্বীকার করছে না বিজেপি। কারণ, পরীক্ষা নিয়ে বই লেখা থেকে ছাত্র-ছাত্রীদের সঙ্গে সময় কাটানো— সবই ছিল ভবিষ্যতের ভোটারদের মন জয়ের চেষ্টা।
প্রধানমন্ত্রী আজ ‘নমো অ্যাপ’-এর মাধ্যমেই দলের বিধায়ক-সাংসদদের সঙ্গে কথা বলেন। আবেদন করেন, নেতারা যেন প্রযুক্তি ব্যবহার করে নিজেদের কেন্দ্রে দলিত, কৃষক, মহিলা ও যুবকদের সঙ্গে আরও বেশি করে যোগাযোগ বাড়ান। সোশ্যাল মিডিয়ায় বিজেপির যে জনপ্রতিনিধির ৩ লক্ষের বেশি ‘ফলোয়ার’ হবে, তাঁর সঙ্গে সরাসরি কথা বলবেন প্রধানমন্ত্রী। লোকসভা ভোটের আগে গ্রামে গ্রামে পৌঁছে দিতে হবে কেন্দ্রের প্রকল্পগুলি।
বিজেপির এক সাংসদ বলেন, ভোটের আগে সাংসদ-বিধায়কদের এই অ্যাপে বার্তা দিয়ে দৌড় করাচ্ছেন মোদী। নিজে যে হেতু গ্রামে-গঞ্জে সরাসরি কথা বলতে পারছেন না, অ্যাপের মাধ্যমে নেতাদের থেকে নিয়মিত ‘ফিডব্যাক’ নিচ্ছেন তিনি। ২৬ এপ্রিল কর্নাটকের নেতাদের সঙ্গেও কথা বলবেন এই অ্যাপের মাধ্যমে। তার পর ১ মে উডুপি থেকে কর্নাটকের ভোটযাত্রা শুরু করবেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy