নীতি আয়োগের সিইও অমিতাভ কান্ত।—ফাইল চিত্র।
মদ এবং গোমাংস বিক্রি ও খাওয়ার অধিকারের বিরোধিতা করে সাম্প্রতিক কালে বার বার বিতর্কে জড়িয়েছে গেরুয়া শিবির। স্রেফ গোমাংস নিয়ে যাওয়া বা রাখার সন্দেহ করে গণপিটুনির ঘটনাও ঘটছে আকছার। সম্প্রতি কেন্দ্রীয় মন্ত্রী আলফোন্স কান্নানথানম তো বলেই বসেন, এ দেশে পর্যটকদের আসতে হলে যথেষ্ঠ গোমাংস যেন তাঁরা খেয়ে আসেন। যা বিতর্ক আরও বাড়িয়েছে।
তাতে জল ঢালতে শেষ পর্যন্ত নামতে হল নীতি আয়োগের সিইও অমিতাভ কান্তকে। তিনি স্বীকার করতে বাধ্য হন খানাপিনা মানুষের ব্যক্তিগত অভিরুচি। সেখানে হস্তক্ষেপ করলে তার সুদূরপ্রসারী কুফল পড়তে পারে পর্যটনে। শুক্রবার দিল্লিতে বিশ্ব অর্থনৈতিক ফোরামের ভারতীয় অর্থনৈতিক সামিটে কান্ত বলেন, ‘‘এক জন পর্যটক কী খেতে এবং কী পান করতে চাইবেন, তাতে দেশের রাজ্যগুলি নাক গলাতে পারে না। এটা সম্ভবই নয়। তিনি কী খাবেন এবং পান করবেন, তা তাঁর ব্যক্তিগত বিষয় এবং রাজ্যের বিষয় নয়।এক জন পর্যটক কী খাবেন বা কী পা যে কোনও রাজ্যেরই উচিত এক জন পর্যটকের সুযোগ-সুবিধের দিকে নজর রাখা। খেয়াল রাখা, যাতে তাঁদের অভিজ্ঞতা ভাল হয়। তিনি যাতে সন্ধেবেলা হোটেলে ফিরে এসে আরাম করতে পারেন, সে দিকেও নজর রাখতে হবে।’’
অনেকেই মনে করছেন কেরলের বাসিন্দা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী আলফোন্স কান্নানথানমের মন্তব্যে জলঘোলা হয়েছে যথেষ্ঠ। অমিতাভ নিজেও কেরল ক্যাডারের আইএএস। তাঁর হাতেই তৈরি হয়েছে পর্যটনে কেরলকে বিখ্যাত করার ‘গডস ওন কান্ট্রি’ বা ‘ইনক্রেডিব্ল ইন্ডিয়া’-র মতো স্লোগান। সেই কারণে তিনি জানেন পর্যটকদের টানতে হলে খাদ্য-পানীয়ে নিয়ন্ত্রণ চলে না। অমিতাভের হাতে যখন কেরলের পর্যটনের দায়িত্ব আসে তখন সবার আগে তিনি পর্যটন আবাসের শৌচালয় দেখভালে নেমেছিলেন।
এ দিনও তিনি বলেন, ‘‘বিভিন্ন জায়গায় আবর্জনার স্তূপ করে রাখাটা কোনও সভ্যতার নিদর্শন নয়। রাস্তায় নোংরা ফেলে রেখে তো পর্যটকদের দেশের ঐতিহ্যপূর্ণ স্থান দেখানোর
জন্য ডাকা যায় না! তাই পরিচ্ছন্নতা প্রথম কাজ।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy