ছবি- সংগৃহীত
সোনম ওয়াংচুক। লাদাখের এই ইঞ্জিনিয়ারের জীবনের অনুপ্রেরণাতেই তৈরি হয়েছিল ‘থ্রি ইডিয়টস’ সিনেমার ফুনশুক ওয়াংডু চরিত্রটি। বাস্তবের সোনম অবশ্য ছাড়িয়ে গিয়েছেন রিল লাইফকেও। জম্মু ও কাশ্মীরের লাদাখে সমাজসেবামূলক কাজের জন্য এই বছরের রমন ম্যাগসেসে পুরস্কার পেলেন তিনি।
জম্মু ও কাশ্মীরের লে জেলার একটি গ্রামে জন্ম। গ্রামে স্কুল না থাকায় ৯ বছর বয়স পর্যন্ত কোনও স্কুলে ভর্তি হতে পারেনি সোনম। পরে শ্রীনগরের একটি স্কুলে ভর্তি হলেও সেখানে লাদাখি ভাষা না থাকায় সে কিছুই বুঝতে পারত না। অগত্যা এগারো বছর বয়সে একাকী দিল্লি পালিয়ে যাওয়া। তারপর নিজের চেষ্টায় শ্রীনগর থেকে ইঞ্জিনিয়ারিং পাশ করেন সোনম। নিজের পড়াশোনার খরচ তুলতে গ্রামে গিয়ে টিউশন পড়ানোর শুরু তখনই। একই সঙ্গে জড়িয়ে পড়েন দূরদূরান্তের গ্রামে পিছিয়ে পড়া ছাত্রছাত্রীদের পড়াশোনা শেখানোর কাজে। সেই শুরু। পিছিয়ে পড়া লাদাখি সমাজের উন্নয়নে তাঁর ম্যারাথন লড়াই আজ সারা পৃথিবীর অনুপ্রেরণা।
তাঁকে মাথায় রেখেই তৈরি হয়েছিল ‘থ্রি ইডিয়টস’ সিনেমার ফুনশুক ওয়াংডু ওরফে র্যাঞ্চো চরিত্রটি। কিছু দিন আগে বরফের স্তূপের মাধ্যমে কৃত্রিম হিমবাহ তৈরি করে তিনি তাক লাগিয়ে দেন সারা দুনিয়াকে। লাদাখ মরুভূমিতে জলের সমস্যা মেটাতেই ছিল তাঁর এই আবিষ্কার।
সোনম ওয়াংচুক। নিজস্ব চিত্র।
সোনম ছাড়াও এ বছর ম্যাগসেসে পেয়েছেন আর এক ভারতীয় ভারত ভাটওয়ানি। মানসিক ভাবে অসুস্থ অনাথ শিশু ও উদ্বাস্তুদের জন্য তাঁর লড়াইয়ের জন্যই তাঁকে এই স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে।
এশিয়ার দেশগুলিতে সামাজিক উন্নয়নের জন্য যাঁরা কাজ করেন, তাঁদেরকে সম্মান জানাতেই দেওয়া হয় ম্যাগসেসে। এই পুরস্কারটি চালু হয় ১৯৫৭ সালে।
আরও পড়ুন: হুমায়ুনের মৃ্ত্যুশয্যায় বাবর! গরু বাঁচাতে ইতিহাস পাল্টে ফেললেন বিজেপি নেতা
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy