ফের লালসার শিকার শিশু।—প্রতীকী চিত্র।
দিল্লিতে প্রতিবেশীর লালসার শিকার শিশুকন্যা। বিস্কুটের লোভ দেখিয়ে তাকে ধর্ষণ করা হয় বলে অভিযোগ। ঘটনার ভয়াবহতায় বেশ কিছুক্ষণের জন্য বাকরুদ্ধ হয়ে পড়ে মেয়েটি। আপাতত হাসপাতালে চিকিৎসা চলছে তার। অভিযুক্তের খোঁজে তল্লাশি চালাচ্ছে পুলিশ।
মঙ্গলবারের ঘটনা। পূর্ব দিল্লির গাজিপুর এলাকায় বাড়ি সাত বছরের শিশুটির। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, রাত ১০টা নাগাদ পাশের দোকান থেকে দুধ আনতে গিয়েছিল সে। সেই সময় গলিতে তাকে কাছে ডাকে পাড়ারই একজন। বিস্কুট খেতে দেয়। সঙ্গে গেলে আরও বিস্কুট দেবে বলে লোভ দেখায়।
যার পর শিশুটিকে নিয়ে এলাকার একটি বাড়ির ছাদে উঠে যায় অভিযুক্ত। সেখানে ধর্ষণ করে। কাউকে কিছু বললে ছাদ থেকে ফেলে দেবে বলে হুমকিও দেয়। তার পর বিবস্ত্র অবস্থায় মেয়েটিকে রাস্তায় ছেড়ে দেয়। রাতের অন্ধকারে মেয়েটিকে ওইভাবে হাঁটতে দেখে তড়িঘড়ি এগিয়ে আসেন এক দোকানদার। মেয়েটির গায়ে কম্বল জড়িয়ে দেন তিনি। খবর দেন তার বাড়িতে।
আরও পড়ুন: কোপ পড়ল না পার্থর দফতরে, গুরুত্ব বাড়ল চন্দ্রিমার
আরও পড়ুন: রথযাত্রার অনুমতি দিয়ে দিল হাইকোর্ট, তবে বিজেপিকে বেশ কিছু শর্ত
ঘটনার ভয়াবহতায় এতটাই ঘাবড়ে গিয়েছিল মেয়েটি যে, বেশ কিছুক্ষণের জন্য বাকরুদ্ধ হয়ে পড়েছিল সে। পরিবারের লোকজন এবং পাড়া-পড়শিরা জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করলে কেঁদে ফেলে। গোটা ঘটনা খুলে বলে। তড়িঘড়ি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় তাকে। সেখানে ধর্ষণ নিশ্চিত করেন চিকিৎসকরা। তারপরই পুলিশে খবর দেওয়া হয়। হাসপাতালে এসে হাজির হন স্থানীয় স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার কাউন্সিলরও। তাঁদের বয়ান দেয় মেয়েটি। তবে এখনও পুরোপুরি স্বাভাবিক হতে পারেনি সে।
অভিযুক্তের নাম পরিচয় যদিও এখনও পর্যন্ত জানা যায়নি, তবে স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, ধর্ষণের পর মেয়েটিকে জামা-কাপড়টুকুও পরতে দেয়নি দেয়নি সে। উদ্ধারের পর মেয়েটিকে যখন জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে তখনসে এলাকাতেই ছিল। কেউ কিছু বুঝে ওঠার আগেই চম্পট দেয়।
পূর্ব দিল্লির ডেপুটি পুলিশ কমিশনার পঙ্কজ সিংহ জানিয়েছেন, শিশুটির বয়ানের উপর ভিত্তি করে অভিযুক্তের বিরুদ্ধে যৌন নির্যাতন থেকে শিশু সুরক্ষা আইনে (পকসো) মামলা দায়ের হয়েছে। দায়ের হয়েছে ধর্ষণ এবং অপরাধমূলক প্ররোচনার মামলাও। তার খোঁজে তল্লাশি চালাচ্ছে ১০০ জনের পুলিশ বাহিনী। যে বাড়ির ছাদে মেয়েটিকে ধর্ষণ করা হয়, তার মালিককে জেরা করা হচ্ছে। সিঁড়ি দিয়ে মেয়েটিকে উপরে নিয়ে চলে গেল একজন, অথচ কারও নজরে পড়ল না কেন, তা জানার চেষ্টা চলছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy