পুরী থেকে দিল্লির আনন্দবিহারগামী এমনই একটি নীলাচল এক্সপ্রেস দুর্ঘটনা থেকে রক্ষা পেল। (প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি)।
প্রচণ্ড গরমে রেললাইন বেঁকে গিয়েছিল। সেই লাইন ধরে যাওয়ার সময় বড়সড় দুর্ঘটনা এড়াল পুরী থেকে দিল্লির আনন্দবিহারগামী নীলাচল এক্সপ্রেস। শনিবার বিকেল রায়বরেলী জংশন ছাড়ার পর বিকেল ৫টা নাগাদ নিগোহা স্টেশনের কাছে পৌঁছয় ট্রেনটি।
রায়বরেলী থেকে পাঁচটি স্টেশন পরে এই স্টেশন। ট্রেনটি এখানে থামে না। মেন লাইনে একটি ট্রেন দাঁড়িয়ে থাকার জন্য নীলাচল এক্সপ্রেসটিকে লুপ লাইন দিয়ে পাস করানোর জন্য সিগন্যাল দেওয়া হয়েছিল। ট্রেনটি নিগোহা স্টেশনের কাছে লুপ লাইন দিয়ে যাওয়ার সময় চালক জোর একটা ঝাঁকুনি অনুভব করেন। সঙ্গে সঙ্গে তিনি ট্রেনটিকে থামিয়ে দেন। তার পর কন্ট্রোল রুম এবং রেলের ইঞ্জিনিয়ার বিভাগে খবর দেন। এর পর লখনউ স্টেশনে পৌঁছে একটি অভিযোগ দায়ের করেন চালক। বিষয়টি রেলের শীর্ষ আধিকারিকদেরও জানান তিনি।
খবর পেয়ে তড়িঘড়ি ঘটনাস্থলে পৌঁছন রেলের শীর্ষ আধিকারিক এবং ইঞ্জিনিয়াররা। তাঁরা গিয়ে দেখেন যে লুপ লাইন দিয়ে নীলাচল এক্সপ্রেসকে পাস করানো হচ্ছিল, এক জায়গায় রেললাইন বেঁকে সরে গিয়েছে। রেললাইনটিকে দ্রুত সারানোর ব্যবস্থা করা হয়। নিগোহা স্টেশন মাস্টারকেও সতর্ক করা হয় লুপ লাইন দিয়ে যাতে কোনও ট্রেন পাস না করানো হয়।
লখনউয়ের ডিভিশনাল রেলওয়ে ম্যানেজার সুরেশ সাপরা এই ঘটনার তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন। রেল বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, রেললাইন ঠিকমতো মেরামত না করার কারণে এমন ঘটনা ঘটতে পারে। ঘটনাচক্রে, গত ২ জুন লুপলাইন দিয়ে যাওয়ার সময় বালেশ্বরের কাছে বাহানগা বাজার স্টেশনের কাছে দুর্ঘটনার মুখে পড়ে আপ করমণ্ডল এক্সপ্রেস। নীলাচল এক্সপ্রেসকেও লুপ লাইন দিয়ে পাস করানো হচ্ছিল। তবে চালক সময় মতো বিষয়টি উপলব্ধি করে ট্রেনটি থামিয়ে দেওয়ায় বহু প্রাণ বেঁচে গিয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy