মিজোরামের ভৈরবী থেকে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে আরও কয়েকটি যাত্রিবাহী ট্রেন চালানোর দাবি তুলেছে রেলযাত্রী অধিকার সুরক্ষা সমিতি।
আজ সমিতির এক প্রতিনিধিদল হাইলাকান্দির জেলাশাসকের সঙ্গে দেখা করে। বরাকের রেলযাত্রীদের সমস্যা নিয়ে একটি স্মারকলিপি জেলাশাসকের মাধ্যমে রেলমন্ত্রীর কাছে পাঠানো হয়।
রেলযাত্রী অধিকার সুরক্ষা সমিতির সদস্যরা স্মারকপত্রে জানিয়েছে— বদরপুর-ভৈরবী লাইনে হাইলাকান্দিতে স্টেশনের নির্মাণকাজ এখনও শেষ করা হয়নি। হাইলাকান্দি স্টেশনে পিআরএস ব্যবস্থা বন্ধ। এতে যাত্রীরা সমস্যায় পড়ছেন। গত ৩০ ডিসেম্বরের মধ্যে স্টেশনের কাজ শেষ করার কথা ছিল। সমিতির সাধারণ সম্পাদক দীপঙ্কর দত্ত, আখতার হাবিব বড়ভুঁইঞা, হীরকজ্যোতি চক্রবর্তী, রণজিৎ ঘোষ বরাকের রেলযাত্রীদের সমস্যা মেটাতে আরও কয়েকটি ট্রেন চালানোর দাবি জানান। বরাকের স্বার্থে শিলচর-ভৈরবী লাইনে আরও এক জোড়া ট্রেন চালানোর আর্জিও জানানো হয়েছে।
বর্তমানে ভৈরবী থেকে ভোরে যাত্রিবাহী ট্রেনটি ছাড়ে। সন্ধেয় ফের শিলচর থেকে ভৈরবী ফেরে। কিন্তু তাতে অধিকাংশ যাত্রীর প্রয়োজন মিটছে না বলে জানিয়েছে রেলযাত্রী সমিতি। সংগঠনের বক্তব্য, ওই লাইনে আরও এক জোড়া ট্রেন চালু করতে হবে। সেটি প্রতি দিন ভোরে শিলচর থেকে ছেড়ে ভৈরবী যাবে। বিকেলে ভৈরবী থেকে ছেড়ে যাবে শিলচরে। তা ছাড়া ভৈরবী থেকে করিমগঞ্জে বাংলাদেশ সীমান্তের মহীশাসন ও আগরতলা পর্যন্ত যাত্রিবাহী ট্রেন চালানোরও দাবি জানানো হয়। ভৈরবী-গুয়াহাটি রুটে ট্রেন চালুর জন্য সংগঠনের সদস্যরা রেলমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ চেয়েছেন। কলকাতা ও চেন্নাই থেকেও ভৈরবী পর্যন্ত যাত্রী পরিষেবা চালু করারও অনুরোধ জানানো হয়েছে।
আজ জেলাশাসক মলয় বরার কাছে সংস্থার তরফে রেল দফতরের প্রতিমন্ত্রী, করিমগঞ্জের সাংসদ, উত্তর-পুর্ব সীমান্ত রেলের প্রবন্ধকের জন্য লেখা স্মারকপত্রও তুলে দেওয়া হয়। স্মারকপত্রের প্রতিলিপি মিজোরামের মুখ্যমন্ত্রীর কাছেও পাঠানো হয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy