পুরভোটে জয়ের জেরে পঞ্জাবে কংগ্রেস সমর্থকদের উল্লাস। ছবি: পিটিআই।
পঞ্জাবের পুরসভা নির্বাচনে কার্যত নিশ্চিহ্ন হয়ে গেল বিজেপি। সে রাজ্যের শাসকদল কংগ্রেসের পাশাপাশি ভাল ফল করেছেন নির্দল প্রার্থীরাও। বিজেপি-র প্রাক্তন সহযোগী শিরোমণি অকালি দলও ধাক্কা খেয়েছে পুরভোটে। নয়া কৃষি আইনের প্রতিবাদে উত্তর ভারত জুড়ে কৃষক আন্দোলনের অভিঘাতেই গেরুয়া শিবিরের এই বিপর্যয় বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের একাংশ।
গত ১৪ ফেব্রুয়ারি পঞ্জাবে পুরভোট হয়েছিল। বুধবার সকাল থেকে পঞ্জাবের ৮টি কর্পোরেশন এবং ১০৯টি মিউনিসিপ্যাল কাউন্সিল আর নগর পঞ্চায়েতের ভোট গণনা শুরু হয়। বেলা গড়াতেই স্পষ্ট হয়ে যায়, ৭টি কর্পোরেশন-সহ অধিকাংশ পুরসভাই কংগ্রেস দখল করতে চলেছে। একক শক্তিতে এবং নির্দলদের সঙ্গে নিয়ে পঠানকোট, বাটালা, হোশিয়ারপুর, অবোহর, ভাতিন্ডা, কপূরথলা, মোগা, কর্পোরেশন দখল করতে চলেছে কংগ্রেস। মোহালি কর্পোরেশনের কিছু ওয়ার্ডে ভোটে অনিয়মের অভিযোগে পুনর্নির্বাচন হচ্ছে বুধবার। শেষ পাওয়া খবর অনুযায়ী, বিজেপি প্রার্থীরা জিতেছেন ৭টি আসনে।
অকালি দলের ‘গড়’ হিসেবে পরিচিত ভাতিন্ডায় প্রায় ৫৩ বছর পরে জয় পেল কংগ্রেস। অকালি দলের প্রধান সুখবীর বাদলের স্ত্রী হরসিমরত কউর এই কেন্দ্রেরই সাংসদ। মুখ্যমন্ত্রী অমরিন্দর সিংহের মন্ত্রিসভার সদস্য তথা সুখবীরের তুতো ভাই মনপ্রীত এই জয়ের জন্য ভাতিন্ডার ভোটদাতাদের অভিনন্দন জানিয়ে টুইটারে লেখেন, ‘ভাতিন্ডাবাসী আজ ইতিহাস তৈরি করলেন’।
গুরদাসপুর পুরসভার ২৯টি ওয়ার্ডের সবগুলি গিয়েছে কংগ্রেসের দখলে। রোপার, ফরিদকোট, রায়পুরার মতো বড় পুরসভাতে ইতিমধ্যেই সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়েছে কংগ্রেস। নির্দল প্রার্থীরা গরিষ্ঠতা পেয়েছে কর্তারপুর সাহিব, নকোদর, নুরমহল পুরসভায়।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy