Advertisement
০৬ নভেম্বর ২০২৪

প্রিয় বাবার পথেই এগিয়ে যাবে ‘মিছিল’

মঞ্চে তখন উস্তাদ রশিদ খান এবং তেজেন্দ্রনারায়ণ মজুমদারের যুগলবন্দিতে চলছে নতুন রাগ ‘প্রিয়রঞ্জনী’। সামনের সারিতে সনিয়া গাঁধী, রাহুল গাঁধী, মনমোহন সিংহ থেকে অমর সিংহ।

স্মরণে: দীপা দাশমুন্সির আঁকা প্রিয়রঞ্জনের ছবিতে ফুল দিচ্ছেন সনিয়া গাঁধী। শুক্রবার দিল্লিতে। —নিজস্ব চিত্র।

স্মরণে: দীপা দাশমুন্সির আঁকা প্রিয়রঞ্জনের ছবিতে ফুল দিচ্ছেন সনিয়া গাঁধী। শুক্রবার দিল্লিতে। —নিজস্ব চিত্র।

নিজস্ব সংবাদদাতা
নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ১৬ ডিসেম্বর ২০১৭ ০৩:১৯
Share: Save:

ন’বছর এক মাস আট দিন।

এ ভাবেই দিন গুনে গুনে ন’বছরের একটি বালক আজ সাবালক। ‘কাঁদব না’ বলেও চোখ ফেটে জল এল। ছলছল চোখে মা জড়িয়ে বললেন, চোখের জলে নয়, ‘প্রিয়কে’ শ্রদ্ধা জানানোর সেরা পথ— বুকের আগুন।

মঞ্চে তখন উস্তাদ রশিদ খান এবং তেজেন্দ্রনারায়ণ মজুমদারের যুগলবন্দিতে চলছে নতুন রাগ ‘প্রিয়রঞ্জনী’। সামনের সারিতে সনিয়া গাঁধী, রাহুল গাঁধী, মনমোহন সিংহ থেকে অমর সিংহ। আর সদ্যপ্রয়াত প্রিয়রঞ্জন দাশমুন্সির কথা স্মরণ করে অঝোরে কাঁদছেন তাঁর স্ত্রী দীপা ও পুত্র প্রিয়দীপ (মিছিল)।

দিল্লিতে এ দিন ছিল প্রিয়রঞ্জনের স্মরণসভা। মঞ্চের পিছনের পর্দায় ভেসে উঠছে টুকরো টুকরো ছবি। ইন্দিরা গাঁধীর সঙ্গে হাসিমুখে, সংসদে ঝাঁঝালো বক্তৃতা, ফুটবল নিয়ে পাগলামি, দুর্গোপুজোয় ধুনুচি নাচ। ২০০৮ সালের পুজোয় হৃদরোগে আক্রান্ত হওয়ার পরে সেই যে অসুস্থ হলেন, কোমা থেকে বেরিয়েও বাক্‌শক্তি আর চলাফেরার ক্ষমতা ফিরল না। ন’বছরের বেশি সময় ধরে প্রিয়র এই ‘নীরবতা’ই কী করে আরও শক্ত করেছে দীপা-মিছিলকে, সে কথাই শোনালেন তাঁরা।

আপাতত লন্ডনে পড়ছেন মিছিল। রাহুল খোঁজ নিলেন তাঁর পড়াশোনা নিয়ে। কিন্তু পড়া শেষে পরিকল্পনা কী? মিছিলের জবাব, ‘‘রাজনীতিই। এটা ছাড়া আর তো কিছু জানি না।’’

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE