রাহুলকেই প্রধানমন্ত্রী দেখতে চান স্ট্যালিন।—ফাইল চিত্র।
দেশের পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী হিসেবে রাহুল গাঁধীকে সমর্থন করার পিছনে কোনও ভুল নেই। দলের মধ্যেও বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হয়েছে। একটি সর্বভারতীয় সংবাদ মাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে এই মন্তব্য করলেন তামিলনাড়ুর ডিএমকে নেতা এমকে স্ট্যালিন। শুধু তাই নয়, তামিল জনগণ চায় বলেই তিনি প্রস্তাবিত প্রধানমন্ত্রী হিসেবে রাহুলকে চাইছেন বলে জানিয়েছেন এই ডিএমকে নেতা।
স্ট্যালিনের বক্তব্য, প্রধানমন্ত্রী হিসেবে রাহুলের নাম প্রস্তাব করার পিছনে আপত্তির কিছু নেই। তাঁর কথায়, ‘‘একসময় ইন্দিরা গাঁধীর নাম প্রধানমন্ত্রী পদের জন্য সুপারিশ করেছিলেনআমার বাবা এম করুণানিধি। পরে ঠিক তাই হয়েছিল। বর্তমান ইউপিএ চেয়ারপার্সন সনিয়া গাঁধীকেও প্রধানমন্ত্রী করার প্রস্তাব দিয়েছিলেন করুণানিধি। সেই সুযোগ এলেও নিজে থেকে সরে গিয়ে মনমোহনকে প্রধানমন্ত্রী করেছিলেন সনিয়া নিজেই। সম্ভাব্য প্রধানমন্ত্রী হিসেবে রাহুলের নাম প্রস্তাব করাটাওশুধুমাত্র আমার ইচ্ছা নয়। তামিলনাড়ুর সাধারণ মানুষ রাহুলকে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দেখতে চান। তাঁদের মনের কথাই তুলে ধরছি আমরা।’’
লোকসভা নির্বাচনে বাকি আর মাত্র কয়েক মাস। সারা দেশেই বিজেপি বিরোধী রাজনৈতিক জোট তৈরির চেষ্টা চলছে। শনিবার কলকাতায় ব্রিগেডে ‘ইউনাইটেড ইন্ডিয়া’ সমাবেশেসেই জোটের একটা প্রাথমিক ছবি পাওয়া গিয়েছে। বিজেপির বিরুদ্ধে জোটবদ্ধ ভাবে লড়াইটাই বড় কথা, প্রধানমন্ত্রী কে হবেন, সেটা পরেও ঠিক করা যেতে পারে—ব্রিগেড সমাবেশে এই বক্তব্যই উঠে এসেছে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাদের বক্তব্যে। সেখানে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে রাহুলের নাম তুলে ধরায় কি কোনও অস্বস্তি তৈরি হতে পারে?
আরও পড়ুন: সারা দেশে বিজেপি বিরোধী জোটকে নেতৃত্ব দিতে পারে কংগ্রেসই: তেজস্বী যাদব
আরও পড়ুন: ‘হোটেলবন্দি’ কংগ্রেস বিধায়কদের ‘মারপিট’, মাথায় বোতলের ঘা! কর্নাটকে জল্পনা তুঙ্গে
এই প্রশ্নের জবাবে সর্বভারতীয় সংবাদ মাধ্যমের কাছে স্ট্যালিনের যুক্তি, ‘‘রাহুলের নাম সুপারিশ করে কোনও অন্যায় করিনি। এখনও পর্যন্ত কেউ আমাকে কিছু জানাননি। রাহুলকে নিয়ে কয়েকটি রাজনৈতিক দলের আপত্তি আছে, অসন্তুষ্ট তারাই। আমি ছাড়া এনসিপি নেতা শরদ পওয়ারওতো রাহুলের হয়ে সুপারিশ করেছেন।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy