সঙ্গে ছিলেন আরও দুই সাংবাদিক। শিলান্যাসের খবর সংগ্রহ করে ফেরার পথে শহরের এক মিষ্টির দোকানে ঢুকেছিলাম। বুঁদের লাড্ডু খেতে খেতে চলছিল কথাবার্তা। মালুগ্রাম-ঘনিয়ালা-ইটখলা রাস্তার কাজের শিলান্যাসের গল্প। ‘অসম রোড মেনটেনান্স ফান্ড’ থেকে ২৮টি রাস্তার জন্য টাকা মঞ্জুর হয়েছে। ৪টির আনুষ্ঠানিকতা আজ শেষ হল।
কথা শুনেই খুশি দোকান-মালিক। কোন কোন ফের জিজ্ঞাসা করলেন তিনি। চারটি রাস্তার কথাই বলা হয় তাঁকে— কাছাড় কলেজ পয়েন্ট থেকে মধুরামুখ পর্যন্ত ২ কিলোমিটার ৬২০ মিটার, স্বামীজি রোডের দু’দিক ধরে ইঅ্যান্ডডি বাঁধে ২ কিলোমিটার ৩০০ মিটার, স্টিমারঘাট পয়েন্ট থেকে ইঅ্যান্ডডি বাঁধ ধরে ২ কিলোমিটার এবং নতুনপট্টি থেকে বৃহত্তর মালুগ্রামের অন্য রাস্তা। এ সব শুনতে শুনতেই নিজের চেয়ার থেকে নেমে এলেন তিনি। দাঁড়ালেন আমাদের টেবিল ঘেঁষে। তাঁর প্রশ্ন, ‘‘কাজ শুরু হবে তো?’’ তিন সাংবাদিকই একসঙ্গে আশ্বাস দেন, ‘‘টাকা মঞ্জুর হয়েছে, শিলান্যাস হয়েছে, কাজ হবে না কেন!’’
বিল মিটিয়ে বিদায় নেবো বলে এগোই। টাকা নিলেন না দোকান মালিক। বার বার একই কথা বললেন, ‘‘এমন একটা সুখবর শোনালেন। এর পর আর লাড্ডুর টাকা নেওয়া যায় না।’’ তিনি জানালেন, ঘনিয়ালা অঞ্চলে বাড়ি তাঁর। দীর্ঘ দিন ধরে রাস্তার যন্ত্রণায় ভুগছেন। বিটুমিন ছাড়া পাথরের ওপর দিয়ে মোটরসাইকেল চালিয়ে কোমরের ব্যথায় ভুগছেন। ভাঙাচোরা রাস্তায় এত ধুলোবালি, শ্বাস ফেলা কষ্টকর।’’
শিলান্যাস করে রাজ্যের পূর্তমন্ত্রী পরিমল শুক্লবৈদ্য অবশ্য জানিয়েছেন, রাস্তার হাল কতটা খারাপ, তা তিনি জানেন। তাই দায়িত্ব নিয়েই অর্থ-মঞ্জুরির ব্যবস্থা করছেন। কাজে স্বচ্ছতার উপর গুরুত্ব দেন বিধানসভার ডেপুটি স্পিকার তথা শিলচরের বিজেপি বিধায়ক দিলীপকুমার পাল। পূর্ত বিভাগের সচিব মোহন বড়ো এবং এগজিকিউটিভ ইঞ্জিনিয়ার মৃন্ময় নাথও শিলান্যাস পর্বে বক্তৃতা করেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy