মুক্তিকান্ত বিসওয়াল। হাসপাতালের বিছানায় শুয়ে।
স্বাস্থ্য পরিষেবার উন্নয়নের কথা দিয়েও কথা রাখেননি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।তাঁর ‘রাজধর্ম’কে মনে করিয়ে দিতেই রৌরকেলা থেকে হেঁটে দিল্লি পাড়ি দিলেনবছর তিরিশের মুক্তিকান্ত বিসওয়াল।
মুক্তিকান্তের দাবি, ২০১৫-য় মোদীর কাছে রৌরকেলা ইস্পাত জেনারেল হাসপাতালের স্বাস্থ্য পরিষেবা উন্নয়নের দাবি জানিয়েছিলেন সেখানকার বাসিন্দারা। মোদী নাকি কথাও দিয়েছিলেন। কিন্তু তার পর প্রায় তিন বছর কেটে গিয়েছে, প্রতিশ্রুতি পূরণ হয়নি। স্বাস্থ্য ব্যবস্থার হাল যে তিমিরে ছিল সেই তিমিরেই রয়ে গিয়েছে। প্রধানমন্ত্রী যখন কথা দিয়েছেন, স্বাস্থ্য পরিষেবার উন্নতি হবেই, এই আশাতেই এক বছর বুক বেঁধে রয়েছেন গ্রামবাসীরা। কিন্তু কোথায় পরিষেবার উন্নয়ন! আক্ষেপ মুক্তিকান্তের। উন্নয়নের সেই দাবি আদায়েই এ বার সরাসরি প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করার সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেন তিনি।
যেমন ভাবনা, তেমন কাজ।প্রয়োজনীয় জিনিস ব্যাগে ভরেবেরিয়ে পড়েন মুক্তিকান্ত। সঙ্গে নেনজাতীয় পতাকা। দিন-রাত এক করে তিনি ১,৩৫০ কিলোমিটার পথ হেঁটে অতিক্রম করেন। কিন্তু শরীর অবসন্ন হয়ে পড়ায় আগরার কাছে রাস্তার উপরেই অজ্ঞান হয়ে পড়ে যান। তাঁকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। হাসপাতালের বেডে শুয়ে মুক্তিকান্ত জানান, হাল ছাড়ার পাত্র নন তিনি। হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেলেই ফের রওনা দেবেন দিল্লির উদ্দেশে। গ্রামবাসীদের স্বাস্থ্যের কথা ভেবে মোদীর কাছ থেকে কাজ আদায় করতেই হবে তাঁকে! বলেন, “মোদীর কাছে অনুরোধ করব ইস্পাত জেনারেল হাসপাতালকে সুপার-স্পেশালিটি হাসপাতালে উন্নীত করতে।”
আরও পড়ুন: খুশির ইদেও পাকিস্তানের গুলি, ওয়াঘায় বন্ধ মিষ্টি বিনিময়
আরও পড়ুন: এবার হোয়াটসঅ্যাপে আইনি নোটিসেরও স্বীকৃতি কোর্টের
কিন্তু সঙ্গে জাতীয় পতাকা কেন? মুক্তিকান্ত ম্লান হেসে বলেন, ওটাই তো সব! এই জাতীয় পতাকাই আমার অনুপ্রেরণা, আমার শক্তি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy