Advertisement
০৬ নভেম্বর ২০২৪

যাত্রী ট্রেন কবে, প্রশ্ন বরাকে

সময়ের আগে মালগাড়ি চললেও লামডিং-শিলচর ব্রডগেজ লাইনে যাত্রিবাহী ট্রেন কবে চলবে, তা নিয়ে অনিশ্চয়তা কাটছে না। মেগাব্লকের সময়সীমা পেরিয়ে গিয়েছে এক সপ্তাহ আগে। এখনও নিরাপত্তা সংক্রান্ত পরিদর্শন শেষ হয়নি। কবে নাগাদ পরিদর্শন হবে, কবে চালু হবে যাত্রিবাহী ট্রেন— তা নিয়ে রেলকর্তারা স্পষ্ট কিছু বলছেন না। এতে সাধারণ মানুষ উৎকণ্ঠায় ভুগছেন।

নিজস্ব সংবাদদাতা
শিলচর শেষ আপডেট: ০৭ এপ্রিল ২০১৫ ০৩:২০
Share: Save:

সময়ের আগে মালগাড়ি চললেও লামডিং-শিলচর ব্রডগেজ লাইনে যাত্রিবাহী ট্রেন কবে চলবে, তা নিয়ে অনিশ্চয়তা কাটছে না। মেগাব্লকের সময়সীমা পেরিয়ে গিয়েছে এক সপ্তাহ আগে। এখনও নিরাপত্তা সংক্রান্ত পরিদর্শন শেষ হয়নি। কবে নাগাদ পরিদর্শন হবে, কবে চালু হবে যাত্রিবাহী ট্রেন— তা নিয়ে রেলকর্তারা স্পষ্ট কিছু বলছেন না। এতে সাধারণ মানুষ উৎকণ্ঠায় ভুগছেন।

১৮ বছর অপেক্ষার পর গত ১৩ মার্চ ব্রডগেজে যুক্ত হয় বরাক উপত্যকা। লামডিং থেকে ইঞ্জিন আসে শিলচরে। পশ্চিমবঙ্গের ধুপগুড়ি থেকে আলু নিয়ে মালগাড়িও আসে। উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেল ২০১৪ সালের ১ অক্টোবর থেকে ছ’মাসের জন্য রেল চলাচল বন্ধ করে দিয়ে এই রুটে মেগাব্লক ঘোষণা করেছিল। সেই হিসেবে ১ এপ্রিল থেকে তাদের ট্রেন চালানোর কথা। কিন্তু ২৮ মার্চ মালগাড়ি ফিরে যাওয়ার পর আর কোনও ট্রেন চলেনি।

সদ্য অবসরপ্রাপ্ত উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেলের জেনারেল ম্যানেজার আর কে সিংহ জানিয়েছিলেন, রেলের পক্ষ থেকে এই অঞ্চলের মানুষকে নববর্ষের উপহার দেওয়ার চেষ্টা হচ্ছে। তাতে সবাই আশা করছিলেন, পয়লা বৈশাখই প্রথম যাত্রিবাহী ট্রেন চলবে। রেলওয়ে সেফটি কমিশনার গত মাসের তৃতীয় সপ্তাহে লামডিং-হাফলং পরিদর্শন করেন। বাকি অর্ধেক লাইন কবে পরিদর্শন করা হবে, তার দিন ঠিক হয়নি। পরিদর্শনের পর কমিশনার শংসাপত্র দিলেই যাত্রিবাহী ট্রেন চালানো হবে।

এই পরিস্থিতিতে তিন দিনের বৃষ্টিতে অনেক জায়গায় ব্রডগেজ লাইন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বিশেষ করে মিয়াংক্রু ও হারাঙ্গাজাওয়ের মাঝে লাইনের নীচে মাটি সরে গিয়েছে।

রেল সূত্র জানিয়েছে, বৃষ্টিতে ব্রডগেজ লাইনে বড় ধরনের কোনও ক্ষতি হয়নি। পাথর বা মাটি সরে যাওয়া অত্যন্ত সাধারণ ঘটনা। আবহাওয়া ভাল হওয়ার পরে লাইনের নীচে সহজেই পাথর, মাটি ভরে দেওয়া যাবে। তা ছাড়া প্রবল বৃষ্টিতেও ওই ব্রডগেজ রুটের মধ্যে থাকা সুড়ঙ্গ-সেতুতে কোনও সমস্যা হয়নি।

কয়েক দিনের মধ্যে জেনারেল ম্যানেজার আর এস ভির্দি বিশেষ ট্রেনে চেপে গুয়াহাটি থেকে শিলচর আসবেন। এর পরই এপ্রিলের তৃতীয় সপ্তাহে সেফটি কমিশনার ওই লাইন পরিদর্শন করবেন। সব ঠিকঠাক থাকলে কমিশনারের সবুজ সঙ্কেত পেতে বেশি সময় লাগবে না। তবে এপ্রিলের মধ্যে যে যাত্রিবাহী ট্রেন চালানো যাবে, এমন আশা করছেন না ওই রেলকর্তাও।

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE