—ফাইল চিত্র।
আগে সরকার দুর্নীতি করত, বিরোধীরা প্রতিবাদ করত। এখন সরকার দুর্নীতি রুখতে লড়ছে, বিরোধীরা দুর্নীতির হয়ে লড়ছে।
কংগ্রেস সহ গোটা বিরোধী পক্ষকে এ ভাবেই শুক্রবার আক্রমণ করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। সংসদে শীতকালীন অধিবেশনের আজই শেষ দিন। সভার কাজ শুরু হওয়ার আগে বিজেপি সংসদীয় দলের বৈঠক হয়েছে এ দিন। সেই বৈঠকেই মোদী এই মন্তব্য করেছেন। কংগ্রেস আর বিজেপির তুলনা টেনে বৈঠকে নরেন্দ্র মোদীর মন্তব্য, ‘‘বর্তমান শাসক দল বিজেপির কাছে দলের চেয়ে দেশ অনেক বড়। কিন্তু কংগ্রেস যখন ক্ষমতায় ছিল, তখন বিষয়টা ঠিক উল্টো ছিল। তাঁদের কাছে দেশের চেয়ে দল অনেক বড়।’’
নোট বাতিলের সিদ্ধান্তকে কেন্দ্র করে সরকার-বিরোধী তীব্র সঙ্ঘাতে গোটা শীতকালীন অধিবেশন জুড়েই অচল থেকেছে সংসদ। বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ বিল এই অধিবেশনে পাশ করানোর পরিকল্পনা নিয়েছিল সরকার। প্রায় সব পরিকল্পনাই ভেস্তে গিয়েছে। স্বাভাবিক ভাবেই অধিবেশনের শেষ দিনে বিজেপি সংসদীয় দলের বৈঠকে প্রধানমন্ত্রীর ভাষণে বিরোধীদের প্রতি এক রাশ তিক্ততাই ঝরে পড়েছে। নরেন্দ্র মোদী এ দিন বলেন, ‘‘আগে শাসক দল বফর্স কেলেঙ্কারি, স্পেকট্রাম কেলেঙ্কারির মতো দুর্নীতির সঙ্গে জড়িয়ে পড়ত। তখন বিরোধীরা এক হয়ে এর প্রতিবাদ করত। কিন্তু এখন শাসক দল তথা এনডিএ কালো টাকাকে পরাজিত করার জন্য লড়ছে, আর বিরোধীরা এর বিরোধিতা করছে।’’
আরও পড়ুন: কংগ্রেসের ‘হাতিয়ার’ নিয়ে জল্পনা, রাহুলের ফোঁসেই আতঙ্কিত বিজেপি
সব বিষয়ে বিরোধীরা কেন সরকারের কাছ থেকে প্রমাণ চায়, নরেন্দ্র মোদী তা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন শুক্রবার। পাক অধিকৃত কাশ্মীরে সার্জিক্যাল স্ট্রাইকের পর বিরোধী পক্ষের তরফ থেকে যে ভাবে প্রমাণ দিতে বলা হয়েছিল, নরেন্দ্র মোদীর ইঙ্গিত যে সে দিকেই ছিল, তা স্পষ্ট। মোদী বলেন, ‘‘আজ ১৬ ডিসেম্বর, বাংলাদেশ এই তারিখে স্বাধীন হয়েছিল। সে সময় বিরোধী পক্ষ কিন্তু তার (বাংলাদেশের স্বাধীনতার) প্রমাণ চায়নি। কিন্তু আজ যাঁরা বিরোধী, তাঁরা সব কিছুর প্রমাণ চায়।’’ এই প্রসঙ্গ তুলেই মোদী দাবি করেন, বিজেপির কাছে দেশের স্থান সব সময় দলের উপরে, আর কংগ্রেসের কাছে দলের স্থান সব সময় দেশের উপরে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy