করিমগঞ্জ জেলা বিজেপির নতুন সভাপতি সুব্রত ভট্টাচার্যের দায়িত্ব গ্রহণের দিন গরহাজির থাকলেন জেলার দলীয় বিধায়ক কৃষ্ণেন্দু পাল ও কৃপানাথ মালাহ-সহ অধিকাংশ মণ্ডলের সভাপতি, সদস্যরা। এ নিয়ে জল্পনা ছড়াল গোটা জেলায়। বিরোধী শিবিরের বক্তব্য, এই ঘটনায় বিজেপির অন্তর্দ্বন্দ্বের স্পষ্ট প্রমাণ মিলেছে।
বিজেপি সূত্রে খবর, ১০টি মণ্ডলের ২০ জন সদস্যের মধ্যে ১১ জনই এ দিন নতুন সভাপতির দায়িত্বভার গ্রহণ অনুষ্ঠানে অনুপস্থিত ছিলেন। দলীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, মণ্ডল সভাপতি ও সদস্যদের এ দিন দলীয় কার্যালয়ে উপস্থিত থাকার জন্য প্রদেশ বিজেপি সম্পাদক তথা সোনাইয়ের বিধায়ক আমিনুল ইসলাম লস্কর আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন। জেলা নেতৃত্বের তরফেও তা করা হয়। কিন্তু এ দিন দেখা যায়, উত্তর করিমগঞ্জের ৪, পাথারকান্দি মণ্ডলের ৪ এবং রামকৃষ্ণনগরের এক জন মণ্ডল সভাপতি ছাড়া অন্য কেউ নতুন সভাপতির দায়িত্ব গ্রহণের সময় ছিলেন না। দলের অন্দরমহলের খবর, সুব্রতবাবুকে সভাপতি মনোনীত করার জন্যই অনেকে গরহাজির ছিলেন তেমন নয়। তাঁদের অভিমান রাজ্য নেতৃত্বের উপর। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক মণ্ডল সভাপতি জানান, করিমগঞ্জে ডেকে নিয়ে এসে সভাপতি নির্বাচনের বিষয়ে মণ্ডল সভাপতি, সদস্যদের কাছ থেকে লিখিত মতামত নেওয়া হয়। কিন্তু সেই মতামতকে গ্রাহ্য করা হয়নি। সভাপতি ঠিক করার আগে তাঁদের সঙ্গে দলের রাজ্য নেতৃত্ব কোনও আলোচনা করেননি বলেও তিনি ক্ষোভপ্রকাশ করেন। জেলা সভাপতি নির্বাচনে তাঁদের বক্তব্যকে গুরুত্ব না দেওয়ার জন্যই, এ দিন অনুষ্ঠানে অনেকে হাজির হননি বলে জানা যায়। অন্য দিকে নবনিযুক্ত জেলা বিজেপি সভাপতি সুব্রতবাবু দায়িত্ব পালনের সময় সবাইকে সাহায্য করার অনুরোধ জানান। তিনি বলেন, ‘‘করিমগঞ্জে বিজেপি অফিস পরিচালিত হবে শ্যামাপ্রসাদ স্মৃতি ভবন থেকেই।’’ সুব্রতবাবু জানান, ১৯৯৬ সালের নির্বাচনে তিনি বিজেপি প্রার্থী মিশনরঞ্জন দাসের সঙ্গে কাজ করেছেন। দলীয় রাজনীতিতে সদ্য প্রাক্তন সভাপতি বিশ্বরূপ ভট্টাচার্যের সঙ্গে সবচাইতে বেশি সময় কাটিয়েছেন। দলীয় সূত্রে খবর, এই বক্তব্যের মাধ্যমে তিনি বুঝিয়ে দিয়েছেন বিজেপির উভয় গোষ্ঠীকে নিয়েই এগিয়ে যেতে চান।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy