আগামিকাল থেকে লোকসভার ভোট সফর শুরু করছেন রাহুল গাঁধী।— ফাইল চিত্র।
একশোর বেশি জনসভা ও রোড-শোয়ের নীল-নকশা তৈরি হয়ে গিয়েছে। আগামিকাল থেকে লোকসভার ভোট সফর শুরু করছেন রাহুল গাঁধী।
কংগ্রেস সূত্র জানাচ্ছে, রাহুল রাজ্যওয়াড়ি ভোট সফর শুরু করবেন নিজের নির্বাচনী কেন্দ্র অমেঠী থেকে। যাওয়ার কথা সনিয়া গাঁধীরও। তবে এখনও চূড়ান্ত হয়নি সফর। অমেঠীর পরে রাহুল ২৫ জানুয়ারি যাবেন ভুবনেশ্বরে। ২৮ তারিখে ছত্তীসগঢ়ে, তার পরের দিন কেরল ও ৩ ফেব্রুয়ারি বিহারে। ১০ ফেব্রুয়ারি লখনউ। এর পরে রাজস্থান, মধ্যপ্রদেশ, কর্নাটকের সফরও চূড়ান্ত হয়ে আছে। উত্তরপ্রদেশে কম করে ১৩টি সভা করবেন কংগ্রেস সভাপতি। দলের এক নেতার কথায়, আপাতত রাহুল ভোটের জন্য গা ঘামানোর কাজ শুরু করবেন। ফেব্রুয়ারির শেষ সপ্তাহ থেকে শুরু হবে পুরোদস্তুর প্রচার-যুদ্ধ। তত দিনে বিভিন্ন কেন্দ্রের প্রার্থীর নাম ও ইস্তাহারও সামনে এসে যাবে।
বিভিন্ন রাজ্য থেকে দাবি আসছে, রাহুল অমেঠী ছাড়াও অন্য কেন্দ্র থেকে লড়ুন। মধ্যপ্রদেশে কমল নাথের ছিন্দওয়াড়া, মহারাষ্ট্রে অশোক চহ্বাণের গড় নান্দেড় কেন্দ্রে লড়ার জন্য দাবি এসেছে। কিন্তু কংগ্রেস নেতৃত্বের মতে, এখনই তেমন কোনও সম্ভাবনা নেই। কোন কোন কেন্দ্রে কাকে প্রার্থী করা যেতে পারে, তেমন একটি তালিকা ২০ ফেব্রুয়ারির মধ্যে এআইসিসির কাছে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন রাহুল। সব জেলা ও ব্লক স্তরের সভাপতিকে নাম দিতে বলা হয়েছে। কিছু গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্রে প্রার্থী তালিকা আগেই ঘোষণা করে দিতে চায় কংগ্রেস। বিশেষ করে যে সব কেন্দ্রে অন্য দলের সঙ্গে জোট হবে।
আরও পড়ুন: রাজীব গাঁধীর ‘১৫ পয়সা’ তত্ত্ব তুলে কংগ্রেসকে বিঁধলেন মোদী
দলের প্রচার কমিটির প্রধান আনন্দ শর্মা বলেন, ‘‘এ বারের প্রচার কৌশলটি অভিনব। ডিজিটাল দুনিয়াকে কাজে লাগানো হবেই। কিন্তু অনেক প্রত্যন্ত এলাকায় এখনও ইন্টারনেটের সুবিধা নেই। সেখানকার বহু মানুষের হাতে নেই স্মার্ট ফোনও। ফলে সেখানে সশরীরে পৌঁছে প্রচারের কোনও বিকল্প নেই।’’ তাই এখনও দলের যে সব নেতা দিল্লিতে বেশি সময় কাটাচ্ছেন, তাঁদেরও রাজ্যে রাজ্যে ছড়িয়ে পড়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। গত পাঁচ বছরে যেসব নেতা-কর্মী দল ছেড়ে চলে গিয়েছেন, তাঁদের ফেরত আনার চেষ্টা চলছে। মনোজ তিওয়ারি দিল্লি বিজেপি সভাপতির দায়িত্ব নেওয়ার পর কংগ্রেসের যে নেতা-কর্মীরা কংগ্রেস ছেড়ে চলে গিয়েছিলেন, শীলা দীক্ষিত তাঁদেরও ফিরিয়ে আনতে উদ্যোগী হচ্ছেন।
আরও পড়ুন: রাহুলে শ্রদ্ধা, তবে জোটের অঙ্ক ভিন্ন, দাবি অখিলেেশর
আর রাহুলের জন্যও যে সব জনসভার পরিকল্পনা করা হয়েছে, তাতে সমাজের বিভিন্ন অংশকে শামিল করা হচ্ছে। যেমন, ছত্তীসগঢ়ের রায়পুর ও পটনার গাঁধী ময়দানের সভা হবে কৃষকদের নিয়ে। আদিবাসীদের নিয়েও আলাদা সভার আয়োজন করা হবে। রাহুল চান, শুধু মহিলাদের নিয়ে পৃথক সভা করতে। নেট-দুনিয়ায় শুধু নয়, মাঠে নেমে সমাজের প্রতিটি অংশকে ছোঁয়াই লক্ষ্য রাহুলের।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy