ফৈজাবাদে রোড শোয়ে প্রিয়ঙ্কা গাঁধী। ছবি: পিটিআই
লোকসভা ভোটে রায়বরেলী থেকে তাঁকে প্রার্থী হতে অনুরোধ করেছিলেন কংগ্রেস কর্মী সমর্থকরা। প্রিয়ঙ্কা গাঁধীর জবাব ছিল, ‘‘বারাণসী হলে কেমন হয়?’’বৃহস্পতিবারের এই ইঙ্গিতের পর আজ শুক্রবার সেই বারাণসী কেন্দ্র নিয়েই মোদীকে এক হাত নিলেন কংগ্রেস সাধারণ সম্পাদক প্রিয়ঙ্কা। ‘‘পাঁচ বছরে এক দিনও নিজের কেন্দ্রে আসার সময় পাননি প্রধানমন্ত্রী’’—কটাক্ষ প্রিয়ঙ্কার। মোদীর নেতৃত্বে কেন্দ্রের এনডিএ সরকারকে ‘জনতা বিরোধী’ এবং ‘কৃষক বিরোধী’বলেও আক্রমণ করেন প্রিয়ঙ্কা।
২০১৪ সালের লোকসভা নির্বাচনে উত্তরপ্রদেশের বারাণসী এবং গুজরাতের বডোদরা— এই দু’টি কেন্দ্র থেকে প্রার্থী হয়েছিলেন নরেন্দ্র মোদী। দু’টিতেই জয়ের পর বডোদরা কেন্দ্র থেকে ইস্তফা দেন। ফলে গত পাঁচ বছর প্রধানমন্ত্রীর পাশাপাশি বারাণসী কেন্দ্রের সাংসদও ছিলেন মোদী। কিন্তু নিজের সংসদীয় ক্ষেত্রের মানুষের জন্য কী করছেন মোদী। শুক্রবার উত্তরপ্রদেশের ফৈজাবাদে নির্বাচনী জনসভা থেকে এই প্রশ্ন তুলেই সাংসদ মোদীকে অস্বস্তিতে ফেলে দিলেন প্রিয়ঙ্কা গাঁধী।
এ দিন প্রিয়ঙ্কা বলেন, ‘‘বারাণসীর লোকজনের কাছে শুনে আমি আশ্চর্য হয়ে গিয়েছি যে, গত পাঁচ বছরে মোদী এক বারও বারাণসীতে আসেননি। সংসদীয় এলাকার একটি গ্রামে এক বারের জন্যও আসার সময় পাননি। পাঁচ বছরে কোনও একটি পরিবারের এক জন লোকের সঙ্গেও কথা বলেননি।’’
আরও পড়ুন: পাকিস্তান এখনও লাশ গুনছে, বিরোধীরা প্রমাণ চাইছেন, মোদীর নিশানায় বিরোধীরা
আরও পড়ুন: এ বার বাংলায় এনআরসি আনব, অনুপ্রবেশকারীদের খুঁজে খুঁজে তাড়াব, হুঙ্কার অমিত শাহের
বিদেশ সফর নিয়ে বিরোধীদের কম কটাক্ষ শুনতে হয়নি প্রধানমন্ত্রীকে। ধেয়ে এসেছে ‘এনআরআই প্রধানমন্ত্রী’র মতো কটাক্ষ। আবার বিদেশ থেকে ভারতে এলে বিরোধীরা কখনও বা শ্লেষ বাক্যে বিদ্ধ করেছেন, ‘ভারত সফরে এলেন মোদী’। মোদীর এই বিদেশ সফর নিয়েই প্রিয়ঙ্কার কটাক্ষ, ‘‘উনি আমেরিকা, জাপান, চিন— গোটা বিশ্বে ঘুরেছেন। কিন্তু তাঁর নিজের কেন্দ্রের মানুষের সঙ্গে কথা বলার সামান্য সময়ও য়নি।’’
দিল্লি দখলের লড়াই, লোকসভা নির্বাচন ২০১৯
‘‘নিজের কেন্দ্রের জন্যই বা কী করেছেন, আর দেশের জন্যই বা কী করেছেন?’’— প্রশ্ন ছুড়ে দিয়েছেন কংগ্রেস নেত্রী। প্রিয়ঙ্কা বলেন, ‘‘খুব সামান্য বিষয়, কিন্তু তাৎপর্য বিশাল। এর থেকেই সরকারের মনোভাব বোঝা যায়। এটাই প্রমাণ করে এই সরকার বড়লোকদের আরও বড়লোক করেছে, আর গরিবদের গরিব।’’ এই সূত্রেই মোদীর সরকারকে জনবিরোধী এবং কৃষক বিরোধী সরকার বলেও আক্রমণ শানান প্রিয়ঙ্কা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy