গ্রাফিক: শৌভিক দেবনাথ।
৫৭ জন ভুয়ো ডাক্তার ধরা পড়লেন মহারাষ্ট্রে। তাঁরা সকলেই একই কলেজের একই ব্যাচের এমবিবিএস। আর তাঁরা সকলেই ভুয়ো এমডি ডিগ্রি দেখিয়ে ডাক্তারি করছিলেন। টানা ৪ বছর ধরে। মহারাষ্ট্র মেডিক্যাল কাউন্সিল সকলেরই লাইসেন্স বাতিল করে দিয়েছে। গত অক্টোবরে ওই সব ডাক্তারদের বিরুদ্ধে এফআইআর-ও করা হয়েছে। প্রচুর টাকার বিনিময়ে যে চিকিৎসক ওই ভুয়ো ডিগ্রি পাইয়ে দিতেন, পুলিশ তাঁকে গ্রেফতার করেছে।
মহারাষ্ট্র মেডিক্যাল কাউন্সিলের তরফে জানানো হয়েছে, ৫৭ জন ডাক্তারই মুম্বইয়ের কলেজ অফ ফিজিশিয়ানস অ্যান্ড সার্জেনস (সিপিএস)-এর ২০১৪-’১৫ ব্যাচের।
পুলিশ জানিয়েছে, ভুয়ো ডাক্তারি ডিগ্রি দেওয়ার একটি বড় চক্র রয়েছে মুম্বইয়ে। সেই চক্রের অন্যতম সদস্য সিপিএসেরই এক প্রাক্তন ছাত্র, চিকিৎসক স্নেহাল ন্যাতি। তিনি প্রচুর টাকার বিনিময়ে ছাত্রছাত্রীদের ভুয়ো ডাক্তারি ডিগ্রি পাইয়ে দিতেন। সিপিএসের ওই প্রাক্তন ছাত্রকে পুলিশ গ্রেফতার করেছে।
তদন্তে জানা গিয়েছে, গ্রেফতার হওয়া চিকিৎসক ন্যাতি ছাত্রপিছু ৩ থেকে ৫ লক্ষ টাকা করে নিতেন ওই কলেজ থেকে ভুয়ো এমবিবিএস এবং এমডি ডিগ্রির সার্টিফিকেট পাইয়ে দেওয়ার জন্য। তিনি ডেকে ডেকে ডাক্তারি ছাত্রছাত্রীদের বলতেন, পরীক্ষায় ফেল করলেও অসুবিধা নেই। টাকা ফেললেই মুশকিল আসান হয়ে যাবে। হাতে এসে যাবে এমবিবিএস এবং এমডি ডিগ্রির সার্টিফিকেট।
আরও পড়ুন- উড়ো চিঠিতেই উধাও ৪ ডাক্তার
আরও পড়ুন- জাল ডাক্তার কি উত্তরেও, বাড়ছে সন্দেহ
ওই ভুয়ো ডিগ্রি পাওয়া ডাক্তারদের অনেকেই নাম নথিভুক্ত করেছিলেন মহারাষ্ট্র মেডিক্যাল কাউন্সিলে (এমএমসি)। এখনও পর্যন্ত মোট ৫৭ জন ভুয়ো ডাক্তারের লাইসেন্স বাতিল করে তাঁদের বিরুদ্ধে এফআইআর করেছে এমএমসি।
এই ভুয়ো ডাক্তারি চক্রটির খবর এমএমসি প্রথম জানতে পারে, ২০১৬ সালে। ওই সময় জলগাঁও জেলার একটি থানা গোটা ঘটনাটি জানিয়েছিল সংশ্লিষ্ট মেডিক্যাল কলেজ ‘সিপিএস’ এবং এমএমসি-কে।
এমএমসি পরে বিভাগীয় তদন্ত চালিয়ে দেখেছে, ২০১৪-’১৫ সালে যাঁরা কাউন্সিলের কাছে ডাক্তারি লাইসেন্সের জন্য আবেদন জানিয়েছিলেন, তাঁদের ৭৮ জনেরই ডাক্তারি ডিগ্রিটা ছিল ভুয়ো।
এমএমসি-র তরফে জানানো হয়েছে, ডাক্তারির সার্টিফিকেটগুলি দেখে বোঝা যায়নি, সেগুলি আসল না নকল!
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy