কিরণ বেদী।
বাড়িতে শৌচালয় না থাকলে, গরিব মানুষকে বিনা পয়সা চাল দেওয়া বন্ধ করে দেওয়া হবে। এ হেন নির্দেশ দিয়ে তুমুল বিতর্কে জড়ালেন পুদুচেরির লেফটেন্যান্ট গভর্নর কিরণ বেদী। চাপের মুখে, শেষ পর্যন্ত অবশ্য সেই নির্দেশ তুলে নিলেন নিজেই।
এই কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের গ্রামাঞ্চলে স্বচ্ছ ভারত মিশনের কাজ ঠিকঠাক চলছে কি না, তা সরেজমিনে দেখতে কয়েকটি গ্রামে গিয়েছিলেন কিরণ। এবং পরিস্থিতি দেখে বেজায় চটে যান। গ্রামগুলিতে এখনও খোলা জায়গায় শৌচকর্ম চলে। শুধু তাই নয়, সার্বিক অপরিচ্ছন্নতার পরিবেশ দেখে কড়া পদক্ষেপের সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেন তিনি।
জেলা ও গ্রামীণ প্রশাসনিক কর্তাদের ডেকে নির্দেশ কিরণ দেন, আগামী ৩১ মে-র মধ্যে যদি গ্রামের প্রতিটি ঘরে শৌচালয় না তৈরি হয়, যদি গ্রামগুলিকে বর্জ্যমুক্ত না করা যায়, তা হলে গরিব গ্রামবাসীদের বিনামূল্যে চাল বিতরণ করা বন্ধ করে দেওয়া হোক।
বেদী বলেন, “গ্রামগুলিকে বর্জ্যমুক্ত করতে যে সময় বেঁধে দেওয়া হয়েছিল, গত দু’বছর ধরে স্থানীয় প্রশাসন এ বিষয়ে কোনও উদ্যোগই নেয়নি। কিন্তু এ ভাবে চলতে পারে না।” স্থানীয় প্রশাসনগুলির স্বচ্ছ্তা অভিযান নিয়ে এমন উদাসীন মনোভাবেও রীতিমতো বিরক্ত হন বেদী। এবং নির্দেশ দেন, বিনামূল্যে চাল সেই সব গ্রামই পাবে যেগুলো ৩১ মে-র মধ্যে নিজেদের স্বচ্ছতার শংসাপত্র অর্জন করতে পারবে। এ বিষয়ে মুখ্যমন্ত্রী ভি নারায়ণস্বামীকেও একটি চিঠি লেখেন তিনি।
বিতর্কের সূত্রপাত এখান থেকেই। এআইএডিএমকে নেতা এ আনাবালাগান বলেছেন, বেদীর এ ধরনের মন্তব্য খুবই অপমানজনক। তাঁর অভিযোগ, সরকার শহরগুলির স্বচ্ছতার জন্য কোটি কোটি টাকা খরচ করে, অথচ গ্রামগুলির ক্ষেত্রে সেই উদ্যোগ নিতেই দেখা যায় না। গ্রামবাসীরা নয়, গ্রামীণ প্রশাসনকেই অস্বচ্ছতার জন্য দায়ী করেছেন তিনি। কংগ্রেস কিরণের এই নির্দেশকে ‘একনায়ক’-এর আচরণের সঙ্গে তুলনা করে। প্রবল চাপের মুখে পড়ে শেষ পর্যন্ত নির্দেশ তুলে নেন কিরণ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy