Advertisement
০৬ নভেম্বর ২০২৪
National News

কেন স্বামীজির লিঙ্গচ্ছেদের পরও আইন তরুণীর পাশেই?

ভণ্ড সাধু বাবার লালসার হাত থেকে নিজেকে বাঁচাতে লিঙ্গচ্ছেদের পথই বেছে নিয়েছেন কেরলের ২৩ বছরের আইনের ছাত্রী। এই ঘটনার পরও তরুণীর বিরুদ্ধে কোনও অভিযোগই দায়ের করেনি কেরল পুলিশ।

সংবাদ সংস্থা
শেষ আপডেট: ২০ মে ২০১৭ ১৭:৫৩
Share: Save:

ভণ্ড সাধু বাবার লালসার হাত থেকে নিজেকে বাঁচাতে লিঙ্গচ্ছেদের পথই বেছে নিয়েছেন কেরলের ২৩ বছরের আইনের ছাত্রী। এই ঘটনার পরও তরুণীর বিরুদ্ধে কোনও অভিযোগই দায়ের করেনি কেরল পুলিশ। ধর্ষণের মতো অপরাধ শেষ পর্যন্ত সংঘটিত হতে পারেনি। তবু লিঙ্গচ্ছেদ করেও আইনে‌র চোখে গ্রেফতার হওয়ার মতোও অপরাধ করেননি ওই তরুণী। এমনকী তার পাশে এসে দাঁড়িয়েছেন কেরলের মুখ্যমন্ত্রী স্বয়ং। এই কাজ সমর্থন করেছে রাজ্যের মহিলা কমিশন। কী ভাবে? বুঝতে হলে বিশদে জানতে হবে ভারতীয় দণ্ডবিধির ১০০ ধারা।

১০০ ধারা বলে জীবনরক্ষার তাগিদে পাল্টা আক্রমণ অপরাধ নয়। ভারতের মতো দেশে ‘ধর্ষিতা’র তকমা নিয়ে বেঁচে থাকা প্রায় মৃত্যুরই সামিল। নিজের সম্মান রক্ষার্থে কোনও মহিলা যদি খুনও করেন আইন তার পাশেই থাকবে। তাই ধর্ষণের শাস্তি হিসেবে ক্যাস্ট্রেশন বা লিঙ্গচ্ছেদের পক্ষে আদালত রায় না দিলেও কোনও মহিলা যদি নিজের সম্মানরক্ষার্থে এই কাজ করে থাকেন আইন তাকে রক্ষাই করবে।

আরও পড়ুন:

ধর্ষকের শাস্তি যখন নিজেই দিয়েছেন ধর্ষিতা! এমন কিছু ঘটনা

ধর্ষণের চেষ্টা করতেই ভণ্ড ‘বাবা’র যৌনাঙ্গ কেটে নিলেন তরুণী!

কেরলের ওই তরুণীর দায়ের করা অভিযোগ অনুযায়ী, কোল্লামের পনমনা আশ্রমের স্বামী গঙ্গেশানন্দ গত ৮ বছর ধরে তাঁকে ধর্ষণ করে এসেছেন। ১৬ বছর বয়সে প্রথম তাঁকে ধর্ষণ করা হয়েছিল বলেও জানান তিনি। শুক্রবার ওই তরুণীর হাতে লিঙ্গচ্ছেদের পর স্বামীজিকে নিয়ে যাওয়া হয় তিরুবনন্তপুরম মেডিক্যাল কলেজে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে জরুরি ভিত্তিতে অস্ত্রোপচার করা হলেও যৌনাঙ্গের ৯০ শতাংশ বাদ চলে যাওয়ায় পুনরায় জোড়া সম্ভব হয়নি।

স্বামী গঙ্গেশানন্দের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩৭৬ (ধর্ষণ) ধারা এবং প্রোটেকশন অব চিলড্রেন ফ্রম সেক্সুয়াল অফেন্সেস আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে।

অন্য বিষয়গুলি:

Rape Castration Bobbitisation
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE