রাজনীতিতে নামার কথা ঘোষণার পর থেকেই নাগাড়ে একই প্রশ্ন শুনে যেতে হচ্ছে দক্ষিণী দুই সুপারস্টারকে।
আপনারা হাত মেলাচ্ছেন কবে? রজনীকান্ত এবং কমল হাসনের দল কি জোট বেঁধে ভোট লড়বে?
রজনী আগে বলেছিলেন, ‘‘উত্তর দেবে সময়।’’ শনিবার হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের বার্ষিক ‘ভারতীয় সম্মেলনে’ কমল বললেন, ‘‘আমার রাজনৈতিক রংটা লাল নয়। এবং আশা করি, রজনীকান্তের রং গেরুয়া নয়। কারণ সেটা যদি হয়, তা হলে জোট অসম্ভব।’’ রজনীকান্তের রাজনৈতিক দল গড়ার ঘোষণাকে স্বাগত জানিয়েছিল বিজেপি। গেরুয়া শিবিরের সঙ্গে তাঁর ‘ঘনিষ্ঠতা’ নিয়েও চর্চা হয়েছে যথেষ্ট। আবার কমলকে সরব হতে দেখা গিয়েছে নরেন্দ্র মোদী সরকারের আমলে দেশে বেড়ে চলা অসহিষ্ণুতা নিয়ে। ওই সম্মেলনের আলাপচারিতায় রজনীর সঙ্গে জোট প্রসঙ্গে কমল জানিয়েছেন, এখনও পর্যন্ত দু’পক্ষের বোঝাপড়ার কোনও স্পষ্ট সম্ভাবনা তৈরি হয়নি। তবে তাঁর দরজা খোলা। দু’দলের ভাবনা, মতাদর্শ, রাজনৈতিক ইস্তাহার— ইত্যাদি যদি একই খাতে প্রবাহিত হয়, সে ক্ষেত্রে জোটের সম্ভাবনা দেখা দিলেও দিতেও পারে।
আরও পড়ুন: প্রচারে গেরুয়া ঝড়, প্রদীপ আগলাতে মরিয়া মানিক
কমল বলেছিলেন, বর্তমান সময়ের রাজনীতি, বিশেষত তামিলনাড়ুর রাজনীতি তথা শাসক দলের উপরে আস্থা হারিয়ে রাজনীতিতে আসার কথা ভেবেছেন তিনি। হার্ভার্ডেও তিনি বলেন, ‘‘তামিলনাড়ুতে অনেক কিছুই ভাল নেই। আমি রাজনীতিতে এসেছি কারণ আমি মানুষের সঙ্গে হাঁটতে চাই, রাজনীতিকদের সঙ্গে নয়।’’ আপ-প্রধান অরবিন্দ কেজরীবাল যে ইতিমধ্যেই তাঁকে জোট-প্রস্তাব দিয়েছেন, সে কথা জানান কমল। তখন আবার বলেন, ‘‘শুধু কেজরীবাল নন, অন্যদের থেকেও এই অভিজ্ঞতাটা নিতে চাই।’’
কমল জানিয়েছেন, নিজের রাজ্য তামিলনাড়ুর প্রত্যেক জেলা থেকে একটি করে গ্রামকে দত্তক নিতে চান তিনি। মোহনদাস কর্মচন্দ গাঁধীর স্বনির্ভর গ্রামের ভাবনার উপরে ভিত্তি করে ওই গ্রামগুলিকে গড়ে তুলতে চান বিশ্বের সেরা গ্রাম হিসেবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy