Advertisement
০৬ নভেম্বর ২০২৪

‘ফুল কোর্ট’-এর বৈঠক চেয়ে চিঠি দুই বিচারপতির

প্রথামাফিক প্রতি বুধবার মধ্যাহ্নভোজে মিলিত হন সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতিরা। বিচারপতি চেলমেশ্বর আজ কোর্টেও যাননি।

দীপক মিশ্র। ফাইল চিত্র।

দীপক মিশ্র। ফাইল চিত্র।

নিজস্ব সংবাদদাতা
নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ২৬ এপ্রিল ২০১৮ ০৪:২৩
Share: Save:

ইমপিচমেন্ট প্রস্তাব হয়তো খারিজ হয়ে গিয়েছে। কিন্তু সুপ্রিম কোর্টের শীর্ষ স্তরে দ্বন্দ্ব যে রয়েই গিয়েছে, তা ফের স্পষ্ট।

দুই প্রবীণ বিচারপতি এ বার প্রধান বিচারপতি দীপক মিশ্রকে চিঠি লিখে দাবি করেছেন, সুপ্রিম কোর্টের ‘প্রাতিষ্ঠানিক সমস্যা’ এবং ‘আদালতের ভবিষ্যত’ নিয়ে আলোচনা করতে সব বিচারপতিকে নিয়ে ‘ফুল কোর্ট’-এর বৈঠক ডাকা হোক। বৈঠকের দাবিদার, বিচারপতি রঞ্জন গগৈ এবং বিচারপতি মদন বি লোকুর। বিচারপতি গগৈয়ের পরবর্তী প্রধান বিচারপতি হওয়ার কথা। দু’জনেই এ বছরের জানুয়ারিতে প্রধান বিচারপতির বিরুদ্ধে ‘বিদ্রোহ’-এ শরিক ছিলেন। জল্পনা আরও বাড়িয়ে বিচারপতিদের বুধবারের মধ্যাহ্নভোজে হাজির ছিলেন না সেই ‘বিদ্রোহ’-এর পুরোভাগে থাকা বিচারপতি জে চেলমেশ্বর। প্রথামাফিক প্রতি বুধবার মধ্যাহ্নভোজে মিলিত হন সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতিরা। বিচারপতি চেলমেশ্বর আজ কোর্টেও যাননি।

প্রধান বিচারপতির বিরুদ্ধে প্রবীণ বিচারপতিদের মূল ক্ষোভ ছিল, তিনি রাজনৈতিক স্পর্শকাতর মামলা বাছাই করা বিচারপতিদের বেঞ্চে পাঠাচ্ছেন। ইমপিচমেন্টের প্রস্তাবেও একই অভিযোগ তুলে বলা হয়, প্রধান বিচারপতি চাপের সামনে বিচার বিভাগের স্বাধীনতা বিসর্জন দিচ্ছেন। কিন্তু উপরাষ্ট্রপতি বেঙ্কাইয়া নায়ডু সেই প্রস্তাব খারিজ করে জানান, এ’টি সুপ্রিম কোর্টের অভ্যন্তরীণ বিষয়।

বস্তুত, সেই ‘অভ্যন্তরীণ বিষয়’ মেটানোরই দাবি তুলেছেন বিচারপতি গগৈ ও বিচারপতি লোকুর। সূত্রের খবর, ইমপিচমেন্ট প্রস্তাব খারিজের আগেই রবিবার মাত্র দু’টি বাক্যে, চাঁচাছোলা ভাষায় লেখা চিঠিটি তাঁরা প্রধান বিচারপতিকে পাঠান। সোমবার ইমপিচমেন্ট প্রস্তাব খারিজ হওয়ার পরে সকালে চায়ের বৈঠকেও তাঁরা বিষয়টি উত্থাপন করেছিলেন।

মোদী সরকার বনাম বিচার বিভাগের দ্বন্দ্বে প্রধান বিচারপতির ভূমিকা নিয়ে এর আগেও তাঁকে প্রবীণ বিচারপতিরা চিঠি লিখেছেন। মার্চের শেষে বিচারপতি জে চেলমেশ্বর কলেজিয়ামের সুপারিশে কেন্দ্রের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। এরপর এপ্রিলের শুরুতে বিচারপতি কুরিয়েন জোসেফ চিঠি লিখে অভিযোগ তোলেন, কলেজিয়াম আইনজীবী ইন্দু মলহোত্র ও উত্তরাখণ্ড হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি কে এম জোসেফকে সুপ্রিম কোর্টে নিয়োগের সুপারিশ করা সত্ত্বেও কেন্দ্র যে ভাবে হাত গুটিয়ে বসে রয়েছে, তা ক্ষমতার অপব্যবহার।

ইন্দু মলহোত্রের ক্ষেত্রে সবুজ সঙ্কেত দিয়েছে কেন্দ্র। তিনিই প্রথম মহিলা যিনি আইনজীবী থেকে সরাসরি সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি হতে যাচ্ছেন। বিচারপতি জোসেফকে নিয়ে অবশ্য অনড় কেন্দ্র।

অন্য বিষয়গুলি:

Dipak Misra Supreme Court
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE