ফাইল চিত্র।
অপ্রচলিত শক্তি ক্ষেত্রে পুঁজি ও প্রযুক্তি বিনিয়োগের জন্য আমেরিকার চেয়েও বেশি আকর্ষণীয় হয়ে উঠেছে ভারত। আমেরিকাকে টপকে ৪০টি দেশের তালিকায় ভারত এখন দু’নম্বরে। সামনে রয়েছে শুধুই চিন। ব্রিটেনের অ্যাকাউন্টেন্সি সংস্থা ‘ইওয়াই’-এর সমীক্ষা এ কথা জানিয়েছে।
গত বছরের একই সমীক্ষায় আমেরিকা ছিল এক নম্বরে। ৪০টি দেশের তালিকায় ভারত ছিল তৃতীয় স্থানে। ২০১৫ সালের পর এই তালিকায় আমেরিকার এই প্রথম অবনমন।
ওই সমীক্ষাতেই বলা হয়েছে, ‘‘এত দিন অপ্রচলিত শক্তি ক্ষেত্রে পুঁজি ও প্রযুক্তি বিনিয়োগের জন্য লগ্নিকারীদের ‘মৃগয়া ক্ষেত্র’ ছিল আমেরিকা। কিন্তু সেই আমেরিকাতেই এ বার ভাটার টান, অপ্রচলিত শক্তি ক্ষেত্র নিয়ে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসনের নীতি।’’
ভারত এগোচ্ছে কী ভাবে? কেন তালিকায় ওপরে উঠে এসেছে উত্তরোত্তর?
‘ইওয়াই’-এর ওই সমীক্ষাতেই তার কারণ ব্যাখ্যা করা হয়েছে। বলা হয়েছে, ‘‘এর অন্যতম প্রধান কারণ, অপ্রচলিত শক্তি ক্ষেত্র নিয়ে ভারত সরকারের চিন্তাভাবনা, কর্মসূচি। ১৭৫ গিগাওয়াট ক্ষমতার অপ্রচলিত শক্তি উৎপাদনের একটি কর্মসূচি রয়েছে ভারতের। যা শেষ হওয়ার কথা ২০২২ সালে। শুধু তাই নয়, সর্বাধিক যে পরিমাণ অপ্রচলিত শক্তি উৎপাদন করা সম্ভব ভারতের পক্ষে, তার ৪০ শতাংশই ২০৪০ সালের মধ্যে উৎপাদন করার কর্মসূচিও রয়েচে ভারতের। এই কর্মসূচিগুলিই অপ্রচলিত শক্তি ক্ষেত্রে ভারতকে বিদেশি বিনিয়োগকারীদের কাছে আকর্ষণীয় করে তুলেছে উত্তরোত্তর। গত তিন বছরে উল্লেখযোগ্য ভাবে বেড়েছে সৌরশক্তির উৎপাদনও। ২০১৪ সালে ভারত উৎপাদন করেছিল ২.৬ গিগাওয়াট ক্ষমতার সৌরশক্তি। সেটাই চলতি বছরে পৌঁছেছে ১০ গিগাওয়াটে। বায়ু থেকে অপ্রচলিত শক্তি উৎপাদনের মাত্রাও উল্লেখযোগ্য ভাবে বেড়ে পৌঁছেছে ৫.৪ গিগাওয়াটে। সরকারি পৃষ্ঠপোষকতা ও আকর্ষণীয় অর্থনীতিই ভারতে অপ্রচলিত শক্তি ক্ষেত্রে বিদেশি বিনিয়োগকারীদের আগ্রহ উত্তরোত্তর বাড়িয়ে চলেছে।’’
আরও পড়ুন- তথ্যপ্রযুক্তিতে ব্যাপক হারে কর্মী ছাঁটাই হবে না, জানাল কেন্দ্র
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy