Advertisement
০৬ নভেম্বর ২০২৪

বন্ধুকে খুন, ধৃত ৪ কিশোর

খেলতে খেলতে শুরু হয়েছিল মারপিট। চার বন্ধুর বেধড়ক মারধরে মৃত্যু হল চতুর্থ শ্রেণির এক ছাত্রের। কিন্তু, বন্ধুকে খুনের কথা স্বীকার করেনি কেউ-ই। উল্টে সাজানো গল্প বলে মাসখানেক নির্বিকার ছিল ৯-১৬ বছরের চার কিশোর। সব কথা শেষে প্রকাশ্যে আসার পর হতবাক তদন্তকারীরা। শোণিতপুর জেলার ঘটনা।

নিজস্ব সংবাদদাতা
গুয়াহাটি শেষ আপডেট: ০৩ জুলাই ২০১৫ ০৩:০৮
Share: Save:

খেলতে খেলতে শুরু হয়েছিল মারপিট। চার বন্ধুর বেধড়ক মারধরে মৃত্যু হল চতুর্থ শ্রেণির এক ছাত্রের। কিন্তু, বন্ধুকে খুনের কথা স্বীকার করেনি কেউ-ই। উল্টে সাজানো গল্প বলে মাসখানেক নির্বিকার ছিল ৯-১৬ বছরের চার কিশোর। সব কথা শেষে প্রকাশ্যে আসার পর হতবাক তদন্তকারীরা। শোণিতপুর জেলার ঘটনা।

পুলিশ জানায়, ১ জুন হেলেম থানার রাঙাজান গ্রামের বাসিন্দা ৯ বছরের আমন সতনামী পাড়ার বন্ধুদের সঙ্গে খেলতে বের হয়। বাকিরা বাড়ি ফিরলেও আমন আসেনি। পরে, বাড়ি থেকে ২ কিলোমিটার দূরে কারিবিল রেল লাইনের পাশে ডোবা থেকে আমনের দেহ উদ্ধার করা হয়। তার বন্ধুরা তখন জানিয়েছিল, খেলতে খেলতে জলে পড়ে গিয়েছিল আমন। আমনের পরিবারের কারও সে কথায় সন্দেহ হয়নি।

কিন্তু, গত কাল ময়না তদন্তের রিপোর্ট পেয়ে পুলিশের সন্দেহ হয়। সেখানে লেখা ছিল গলা টিপে, ঘাড়ে আঘাত করে আমনকে মারা হয়েছে। এর পরই পুলিশ আমনের বন্ধু বীরেন সতনামী, প্রাঞ্জল সতনামী, কৃষ্ণ সতনামী ও তার ভাই গণেশকে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করে। বয়ানে অসঙ্গতি থাকায় তাদের আটক করা হয়। এ দিন চার জনকে প্রথমে গোহপুরের সাব ডিভিশনাল ম্যাজিস্ট্রেটের আদালত ও পরে তেজপুর শিশু আদালতে পাঠানো হয়। আদালত তাদের তেজপুর শিশু কল্যাণ সমিতির তত্ত্বাবধানে শিশু সংশোধনাগারে পাঠাতে বলেছে।

অন্য দিকে, একটি তিন বছরের শিশুকন্যাকে অপহরণ করার অভিযোগে, বছর দশেকের দুই কিশোরকে পুলিশের হাতে তুলে দিল জনতা। গোলাঘাটের ঘটনা। পুলিশ জানায়, তিন নম্বর রেলগেট এলাকার বাসিন্দা পাপুলি আলি ও আফতারা বেগমের বাড়িতে গতকাল বেলা ১টা নাগাদ ভিক্ষা চাইতে আসে দুই কিশোর। আফতারার কাছে তারা খেতেও চায়। আফতারা তাদের খেতে দিয়ে ভিতরের ঘরে যান। ফিরে এসে দেখেন সামনের ঘরে থাকা শিশুকন্যা ও দুই কিশোর উধাও। পরে পানিট্যাঙ্কি এলাকার কাছে ওই দুই কিশোরের সঙ্গে আফতারার মেয়েকে দেখতে পান তাঁদের এক আত্মীয়। তিনি মেয়েটিকে নিয়ে আসেন। গতকাল গভীর রাতে ওই দুই কিশোরকে ধরে পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়।

হাতি মামলার শুনানি পিছোল। ফের পিছোল হাতি মামলার শুনানি।

আজ ওই মামলার শুনানিতে মা ও শাবক হাতির ৬ জন দাবিদার আদালতে হাজির ছিলেন। কৌতূহলী মানুষের বিড়ও জমেছিল। হাইলাকান্দি সিজেএম আদালতের বিচারক জানান, জেলার পুলিশ সুপারের কাছ থেকে হাতি-সংক্রান্ত রিপোর্ট তিনি পাননি। তাই এ দিন শুনানি হবে না। পরবর্তী শুনানির আগে এ নিয়ে পুলিশকে এ সংক্রান্ত রিপোর্ট আদালতে দাখিল করার নির্দেশ দেন বিচারক জয়দেব কোচ। এর আগেও চার বার হাতি মামলার শুনানির তারিখ পিছিয়েছে। এখনও পর্যন্ত দু’টি হাতির জন্য ৬ জন দাবিদার এসেছেন। তাঁদের মধ্যে এক জন বাংলাদেশের বাসিন্দা। বাকিরা বরাক উপত্যকার।

অন্য বিষয়গুলি:

teenager murder police elephant rail gate
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE