দু’দিন আগে পুরীর মন্দিরের মুখ্য প্রশাসককে সরানোর কথা ঘোষণা করেছিল নবীন পট্টনায়কের সরকার। এ বার নাটকীয় ভাবে ট্রেজারি বিল্ডিংয়ে জগন্নাথের
রত্নভাণ্ডারের হারানো চাবির ‘ডুপ্লিকেট’ উদ্ধারের দাবি করল পুরীর জেলা প্রশাসন।
বৃহস্পতিবার জগন্নাথ মন্দিরের সার্বিক নিরাপত্তার দায়িত্বপ্রাপ্ত অতিরিক্ত পুলিশ সুপার-মর্যাদার অফিসার, প্রফুল্ল মিশ্র আনন্দবাজারকে বলেন, ‘‘এ হল ডুপ্লিকেট চাবি। ট্রেজারি বিল্ডিংয়ে একটা খামের মধ্যে পড়েছিল।’’ পুরীর কালেক্টর অরবিন্দ অগ্রবালও সংবাদমাধ্যমের সামনে বিকল্প চাবি উদ্ধারের কথা জানিয়েছেন।
তবে কী ভাবে এই চাবির পরখ হবে, তা পরিষ্কার নয়। বাস্তবিক, চাবি-বিভ্রাটেও রত্নভাণ্ডারের ভিতরের কুঠুরির সম্পদের নিরাপত্তা নিয়ে তেমন দুশ্চিন্তার অবকাশ দেখছেন না কেউই। তবু চাবি হারানোর জেরেই মন্দিরের সদ্য প্রাক্তন মুখ্য প্রশাসক, আইএএস-কর্তা প্রদীপ জেনাকে অপসারিত করা হয়েছে বলে সরকারি মহলের একাংশ মনে করছে। তাদের বক্তব্য, হাইকোর্টের নির্দেশে গত ৪ এপ্রিল রত্নভাণ্ডার পরিদর্শনের সময়েই ভিতর ভাণ্ডারের চাবি নেই বলে মালুম হয়েছিল। মুখ্য প্রশাসক তখন বন্ধ দরজার বাইরে থেকেই ভিতরের কুঠুরির মাপ নিতে এবং আলো জ্বেলে পরিদর্শনের নির্দেশ দেন। সন্ধ্যায় মন্দিরের ম্যানেজিং কমিটির বৈঠকে চাবি হারানোর বিষয়টি নথিবদ্ধ করান পুরীর গজপতি রাজা। তবে চাবি হারানোর বিষয়ে এর পরেও কোনও পদক্ষেপ করেননি মুখ্য প্রশাসক। যদিও প্রশাসনের একাংশ আবার বলছে, দক্ষ আইএএস-কর্তা প্রদীপবাবু রাজ্যের জলসম্পদ সচিবও। ভার লাঘবের জন্যই তাঁকে সরানো হয়েছে।
স্কুলশিক্ষা দফতরের সচিব প্রদীপ্তকুমার মহাপাত্র জগন্নাথ মন্দিরের নতুন মুখ্য প্রশাসক হয়েছেন। ওড়িশায় এখন রজ উৎসব উপলক্ষে তিন দিনের সরকারি ছুটি। সম্ভবত এর পরেই প্রদীপ্তবাবু নতুন দায়িত্ব নেবেন। তবে তার আগেই পুরীর কালেক্টরের ঘোষণায় নয়া মোড় নিচ্ছে চাবি-বিভ্রাট। বিকল্প চাবি দিয়ে রত্নভাণ্ডার খোলে কি না, তা দেখতে সরকার হাইকোর্টে যাবে না, নিজেরা স্বতঃপ্রবৃত্ত হয়ে সিদ্ধান্ত নেবে তা পরিষ্কার নয়।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy