কাঠুয়ায় ধর্ষণ করে খুনের ঘটনায় নির্যাতিতার পরিচয় প্রকাশ্যে আনায় গুগল, ফেসবুক, টুইটার এবং ইউটিউবের মতো সংস্থাগুলিকে নোটিস পাঠিয়েছে দিল্লি হাইকোর্ট। ফাইল চিত্র।
সংবাদমাধ্যমের পরে এ বার কাঠগড়ায় উঠল সোশ্যাল মিডিয়া।
কাশ্মীরের কাঠুয়ায় আট বছরের নাবালিকাকে ধর্ষণ করে খুনের ঘটনায় নির্যাতিতার নাম-পরিচয় এবং ছবি অবাধে আপলোড করায় আজ গুগল, ফেসবুক, টুইটার এবং ইউটিউবের মতো সংস্থাগুলিকে তীব্র ভর্ৎসনা করল দিল্লি হাইকোর্ট।
আদালতের মতে, সোশ্যাল মিডিয়ার কিছু ব্যবহারকারীর এই দায়িত্বজ্ঞানহীন আচরণ গোটা বিশ্বের কাছে ভারতের ভাবমূর্তি বহুলাংশে খাটো করেছে। তাদের কাজকর্ম নিয়ন্ত্রণ করতেও ব্যর্থ সোশ্যাল মিডিয়া সংস্থাগুলি। অবিলম্বে এই বিষয়টি নিয়ে জবাবদিহি তলব করে সংস্থাগুলিকে নোটিস পাঠিয়েছে আদালত।
এর আগে সংস্থাগুলির ভারতীয় শাখায় নোটিস পাঠিয়েছিল আদালত। এই প্রসঙ্গে তখন সংস্থাগুলি জানিয়েছিল, কোর্টের কাছে জবাব দেওয়া তাদের এক্তিয়ার বহির্ভূত। এ বার তাই চিঠি গেল সরাসরি সংস্থাগুলির সদর দফতরে।
ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি গীতা মিত্তল এবং বিচারপতি হরিশঙ্করের বেঞ্চ এ দিন সাফ জানায়, সোশ্যাল মিডিয়ায় এই আচরণ স্পষ্টতই অন্যায় এবং অবৈধ। নির্যাতিতা নাবালিকার পরিচয় জনসমক্ষে প্রকাশ হয়ে পড়ায় ভারতের যে সম্মানহানি হয়েছে, তার ফল সোশ্যাল মিডিয়া সংস্থাগুলিকে ভুগতেই হবে। গোড়ায় দেশের কিছু সংবাদমাধ্যমও একই পথে হেঁটেছিল। এমন ১২টি সংবাদমাধ্যমকে গত মাসেই ১০ লক্ষ টাকা করে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার কথা বলেছিল কোর্ট।
সূত্রের খবর, এই ঘটনায় বেশ কয়েকটি সংস্থা আদালতের কাছে ক্ষমা চেয়ে নিয়েছে।
তবে প্রেস কাউন্সিল অব ইন্ডিয়ার অভিযোগের ভিত্তিতে দায়ের হওয়া মামলার নিষ্পত্তি হয়নি আজ। তার শুনানি পিছিয়ে ২৯ মে দিন ধার্য করেছে আদালত।
এ দিন এক কৌঁসুলি জানান, শ্রীনগরে বেশ কিছু বাস-অটোতে এখনও ওই নাবালিকার ছবি রয়েছে। কোর্ট তা নিয়েও অসন্তোষ প্রকাশ করেছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy