‘বেটি বাঁচাও বেটি পড়াও’ এর পর এবার ‘মেরি বেটি, মেরি পহেচান’।
জামশেদপুরের পোটকা গ্রাম পঞ্চায়েতের তিরিঙ্গ গ্রামের বাড়ির দরজায় লাগানো হল বাড়ির অবিবাহিত মেয়ের নামে নেমপ্লেট। বাড়িতে অবিবাহিত মেয়ে না থাকলে নেমপ্লেটে খোদাই থাকবে গৃহকত্রীর নাম। গৃহকর্তা নয়, গ্রামের প্রতিটি বাড়ির পরিচয় হবে ওই বাড়ির মেয়েদের নামে।
জামশেদপুর শহর থেকে ২৪ কিলোমিটার দূরে তিরিঙ্গ গ্রামে মূলত আদিবাসীদেরই বাস। এখানে এই অভিযানের সূচনা করেন পূর্ব সিংভূম জেলার জনসংযোগ আধিকারিক সঞ্চয় কুমার। তিনি বলেন, ‘‘ঝাড়খণ্ডের বেশিরভাগ গ্রামে শতকরা হিসেবে ছেলেদের সংখ্যা মেয়েদের থেকে কম। তিরিঙ্গ গ্রামও তার ব্যতিক্রম নয়। তা হলে মেয়েদের পরিচয়ে কেন পরিবারের পরিচয় হবে না?’’ তিরিঙ্গ গ্রাম থেকে অন্য গ্রামেও এই অভিযান ছড়িয়ে দেওয়া হবে বলে সঞ্চয় জানান। গ্রামের মুখিয়া উমেশ সর্দারের চেষ্টায় গ্রামের চৌমাথায় জড়ো হয়েছিলেন ওই গ্রামের ছাত্রছাত্রী থেকে শুরু করে গৃহবধূ, এমনকী আশপাশের গ্রামের কয়েক জন শিক্ষক-শিক্ষিকাও। বিভিন্ন বাড়িতে গিয়ে শাঁখ বাজিয়ে বাড়ির দরজায় নেমপ্লেট লাগানো হয়। উমেশবাবু বলেন, ‘‘আমরা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর ‘বেটি বাঁচাও, বেটি পড়াও’ এর দ্বারা উদ্বুদ্ধ হয়ে এই অভিযানে নেমেছি। কয়েকদিন আগে গ্রামসভা করে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। সবাই এই প্রস্তাবে রাজি হন। ঝাড়খণ্ডের এই প্রথম গ্রাম যে গ্রামে প্রতিটি ঘর পরিচিত হচ্ছে সেই বাড়ির মেয়েদের নামে।’’ প্রত্যন্ত এই গ্রামের মাটির বাড়িতে নেমপ্লেট লাগানোর কোনও চলই নেই। যে মুষ্টিমেয় বাড়িতে রয়েছে সেখানে নেমপ্লেটে ছিল গৃহকর্তার নাম। সেই নেমপ্লেট এ দিন খুলে ফেলা হয়। গ্রামে মোট ১৭০ টি বাড়িতে নতুন করে লাগানো হয় নেমপ্লেট। হলুদ রংয়ের টিনের পাতে কালো অক্ষরে নিজের নামে নেমপ্লেট লাগিয়ে খুব খুশি সপ্তম শ্রেণীর ছাত্রী পূজা কুমারী।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy