আদালতের পথে টিএসআর-এর দ্বিতীয় বাহিনীর কমাড্যান্ট তপন দেববর্মন। —নিজস্ব চিত্র।
সাংবাদিককে খুনের অভিযোগে ত্রিপুরা স্টেট রাইফেলস (টিএসআর)-এর দ্বিতীয় বাহিনীর কমাড্যান্টকে গ্রেফতার করল পুলিশ। এই নিয়ে ওই খুনের ঘটনায় ধৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল দুই।
পুলিশ জানিয়েছে, সাংবাদিক সুদীপ দত্ত ভৌমিকের হত্যার প্রমাণ লোপাট এবং সেই কাজে সহযোগিতা করার অভিযোগে কমান্ড্যান্ট তপন দেববর্মনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বুধবার ধৃতদের আদালতে পেশ করা হয়। দশ দিনের পুলিশি হেফাজতে পাঠিয়েছেন মুখ্য বিচারক ।
মঙ্গলবার খবর সংগ্রহ করতে গিয়ে খুন হন ৪৯ বছরের সাংবাদিক সুদীপ দত্ত ভৌমিক। রামচন্দ্র নগরে টিএসআর-এর সদর দফতরে ওই ঘটনা ঘটে। ওই দিন দুপুরে তপন দেববর্মনের সঙ্গে দেখা করতে যান সুদীপ। বার বার বলা সত্ত্বেও কমান্ড্যান্টের সঙ্গে দেখা হয়নি তাঁর। এক সময় সুদীপের সঙ্গে কমান্ড্যান্টের নিরাপত্তারক্ষী নন্দকুমার রিয়াং-এর সঙ্গে বচসাও শুরু হয়। সেই সময়ে নিজের একে-৪৭ রাইফেল থেকে সুদীপকে গুলি করেন ওই নিরাপত্তারক্ষী। ঘটনার পরই তাঁকে গ্রেফতার করা হয়।
আরও পড়ুন
পয়েন্ট ব্ল্যাঙ্ক রেঞ্জ থেকে পেটে গুলি, ভদ্রেশ্বরে খুন পুর চেয়ারম্যান
মোদীকে নিয়ে কুরুচিকর টুইট মুছে দিল কংগ্রেস
সাংবাদিক খুনের এই ঘটনায় সরব হয়েছে রাজ্য বিজেপি। বিজেপি বিধায়ক সুদীপ রায়বর্মন দাবি করেন, এই ঘটনার সিবিআই তদন্ত করানো উচিত। তিনি বলেন, “মুখ্যমন্ত্রী যে হেতু স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, তাই এই ঘটনার দায় এড়াতে পারেন না তিনি। টিএসআর-এর সদর দফতরে এই ঘটনা ঘটেছে। ফলে এতে মুখ্যমন্ত্রীর নৈতিক দায়িত্ব রয়েছে।”
কংগ্রেসের প্রাক্তন বিধায়ক এবং দলীয় মুখপাত্র তাপস দে বলেন, “রাজ্য সরকার এবং সিপিআইএম ধৈর্যহারা হয়ে গিয়েছে। সাংবাদিকদের বিভিন্ন ভাবে মানিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে এবং না মানলে তাঁকে মেরে ফেলা হচ্ছে।” কংগ্রেস থেকে ওই সাংবাদিকের পরিবারের জন্য দশ লক্ষ টাকার ক্ষতিপূরণও দাবি করা হয়েছে। তা ছাড়া, সাংবাদিকদের নিরাপত্তার বিষয়টি খেয়াল রাখতে রাজ্য সরকারের কাছে দাবি জানানো হয়েছে।
এ দিন প্রেস ক্লাবে সুদীপ দত্ত ভৌমিকের মরদেহ আনা হয়। তাতে মালা দিয়ে শ্রদ্ধা জানান কংগ্রেস, সিপিএম, বিজেপি, তৃণমূল-সহ উপজাতি দল আইএনপিটি-র একাধিক নেতানেত্রী।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy