প্রধান বিচারপতি দীপক মিশ্র
আইনজীবীদের ধর্মঘটের বিরুদ্ধে সওয়াল করলেন প্রধান বিচারপতি দীপক মিশ্র।
কলকাতা হাইকোর্টে পর্যাপ্ত বিচারপতির অভাবের প্রতিবাদে চলতি বছরেই টানা ৬৯ দিন কর্মবিরতি পালন করেছিলেন আইনজীবীরা। খাতায়-কলমে কর্মবিরতি হলেও তা কার্যত ধর্মঘটই ছিল। তারও আগে নানা সময়ে নানা আদালতে কর্মবিরতি পালন করেছেন আইনজীবীরা। যা কার্যত ধর্মঘটেরই শামিল হয়েছে। আজ সেই প্রসঙ্গ টেনে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবীদের এক অনুষ্ঠানে অ্যাটর্নি জেনারেল কে কে বেণুগোপাল বলেন, ‘‘আইনজীবীদের কাছে আমার অনুরোধ, আপনারা কখনও ধর্মঘটে যাবেন না।’’
সেই সূত্র ধরেই প্রধান বিচারপতি দীপক মিশ্র বলেন, ‘‘অ্যাটর্নি জেনারেল বলেছেন, আইনজীবীদের ধর্মঘটে যাওয়া উচিত নয়। একে ‘লিডার অব দ্য বার’-এর নির্দেশ বলেই মনে করা উচিত।’’ বেণুগোপালের যুক্তি, ‘‘ধর্মঘট শ্রমিক সংগঠনের জন্য। আইনি পেশা কোনও ব্যবসা নয়। এটি সম্মানজনক একটি পেশা। তাই এই পেশার লোকেদের ধর্মঘটে যাওয়া উচিত নয়।’’
প্রধান বিচারপতি ও অ্যাটর্নি জেনারেল এই কথা বললেও তাতে কতটা লাভ হবে, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। আইনজীবীদের যুক্তি, তাঁরা ধর্মঘটে না গিয়ে কর্মবিরতি পালন করতেই পারেন। কোনও আইনে তাঁদের কাজ করতে বাধ্য করা সম্ভব নয়। কলকাতা হাইকোর্টের বার অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি উত্তম মজুমদারের যুক্তি, অ্যাডভোকেটস আইনে কোনও বিধিনিষেধ নেই। আইনজীবীদের বিধিতেও কোনও মানা নেই। তবে সুপ্রিম কোর্ট ২০০৪, ২০১৭ ও ২০১৮-র তিনটি মামলায় আইনজীবীদের ধর্মঘটের বিরুদ্ধে রায় দিয়েছে। কিন্তু কর্মবিরতিতে কোনও বাধানিষেধ নেই।
উত্তমবাবুর যুক্তি, কলকাতার আইনজীবীরাও ধর্মঘটে যাননি। শুধু কর্মবিরতি পালন করেছিলেন। তা-ও হাইকোর্টে বিচারপতির শূন্য পদের প্রতিবাদে। তিনি বলেন, ‘‘আমরা কোনও সরকারি কর্মচারী নই। আইনজীবীদের সরকার বেতন দেয় না। আইনজীবীরা কাজ না করলে তাঁদেরই আয় হবে না। আমরা কাজ থেকে বিরতি নিতেই পারি।’’
বিচারপতিদের শূন্য পদ নিয়ে মুখ না খুললেও আজ প্রধান বিচারপতি জানান, বিচারবিভাগের পরিকাঠামোয় অভাব মেটানো দরকার। সুপ্রিম কোর্টের অ্যাডভোকেটস-অন-রেকর্ডসদের এই সম্মেলনের উদ্বোধন করেন রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ। যিনি নিজে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ছিলেন। কোবিন্দ বলেন, ‘‘এ আমার কাছে নিজের ঘরে ফেরা।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy