নদী সীমা পরিদর্শনে কেন্দ্রীয় প্রতিনিধিদল। শনিবার করিমগঞ্জে। ছবি: শীর্ষেন্দু সী।
দেশের সীমান্ত সমস্যা গঠিত কেন্দ্রীয় সরকারের কমিটি আজ করিমগঞ্জের আন্তর্জাতিক সীমান্ত সফর করল।
পাঁচ সদস্যের এই কমিটির চেয়ারম্যান প্রাক্তন স্বরাষ্ট্রসচিব মধুকর গুপ্ত ও চার সদস্য—কে বিজয়কুমার, শিবানন্দ, অশোক প্রসাদ, অরবিন্দ কুমার আজ সেনাবাহিনীর হেলিকপ্টারে করে করিমগঞ্জে আসেন। প্রথমে তাঁরা বিএসএফের আউটপোস্টে যান। সেখান থেকে নদীপথে কুশিয়ারা নদীর উন্মুক্ত সাড়ে তিন কিলোমিটার সীমান্ত পরিদর্শন করেন। এরপর মোবারকপুর থেকে গাড়িতে করে ভাঙ্গার হরিটিকর এলাকা পরিদর্শন করেন। সীমান্ত পরিদর্শন কালে কাছাড়-মিজোরাম ফ্রন্টিয়ারের আইজি এনএস জামুয়াল, করিমগঞ্জের জেলাশাসক প্রশান্ত কুমার মহন্ত, পুলিশ সুপার প্রদীপ রঞ্জন কর উপস্থিত ছিলেন।
করিমগঞ্জ শহরে সাড়ে তিন কিলোমিটার নদী সীমান্তে এখনো কাঁটাতারের বেড়া বসেনি। এ ছাড়া লাঠিটিলা-ডুমাবাড়ির স্থলসীমান্তের কিছু অংশ এখনও খোলা রয়েছে। তা ছাড়া বাকি এলাকায় কাঁটাতারের বেড়া বসানোর কাজ শেষ হয়েছে। কেন্দ্রীয় প্রতিনিধিদলটি করিমগঞ্জের সীমান্ত পরিদর্শন করে কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে রিপোর্ট দেবে। বিএসএফের কাছাড়-মিজোরাম ফ্রন্টিয়ারের আইজি বলেন, প্রতিনিধিদলটি ভারত-পাকিস্তান সীমান্ত ছাড়াও ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তের সুরক্ষা খতিয়ে দেখতে করিমগঞ্জে এসেছিলেন। করিমগঞ্জের সীমান্ত এলাকার নিরাপত্তা জোরদার করতে বিশেষ উদ্যোগী হয়েছে কেন্দ্র এবং রাজ্য সরকার। এক-দুমাস অন্তর অন্তর প্রতিনিধিদল সীমান্ত এলাকা পরিদর্শন করতে আসছে। ফলে খুব শীঘ্রই করিমগঞ্জের সীমান্ত এলাকা কাঁটাতারে মুড়ে দেওয়া হবে।
সীমান্ত সুরক্ষিত হলে অনুপ্রবেশ, চোরাকারবার প্রায় বন্ধ হয়ে যাবে বলে আইজি এনএস জামুয়ালের আশা। জারাপাতা, লক্ষীবাজার-সহ করিমগঞ্জের বেশ কয়েকটি এলাকায় কাঁটাতারের বেড়ার বাইরে ভারতীয়রা আছেন। তাঁদের ভারতের মূল ভূখণ্ডে নিয়ে আসার পরিকল্পনা রয়েছে কিনা সেই প্রসঙ্গে আইজি বলেন, বিষয়টি রাজ্য সরকারের অধীনে। রাজ্য সরকার জমির ব্যবস্থা করে দিলে ওই ভারতীয়দের পুনর্বাসনের আর অসুবিধে হবে না।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy