‘গ্রিক ট্র্যাজেডি’ উদ্বেগ ছড়াল নয়াদিল্লিতে। অর্থমন্ত্রকের আশঙ্কা, গ্রিসের আর্থিক সঙ্কটের জেরে ভারতের শেয়ার বাজার থেকে বিদেশি পুঁজি বেরিয়ে যেতে পারে।
গ্রিসের আর্থিক সঙ্কটের জেরে আজ ভারতের শেয়ার বাজার ধাক্কা খেয়েছে। তখনই বিপদ বুঝে নরেন্দ্র মোদী সরকার পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার চেষ্টা শুরু করে। এখনও পর্যন্ত অবশ্য কোনও নির্দিষ্ট পরিকল্পনা তৈরি হয়নি। তাই আজ ‘ভোকাল টনিক’ দিয়ে লগ্নিকারীদের স্নায়ু শান্ত রাখার চেষ্টা করেছেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রকের কর্তারা। মোদী সরকার আশা করছে, গ্রিসের পরিস্থিতি কোন দিকে এগোচ্ছে, তা বুঝতে আরও দু’-তিন দিন সময় লাগবে। কিন্তু শেয়ারবাজার থিতু হতে কত দিন সময় লাগবে, তা এখনও স্পষ্ট নয়। লম্বা দৌড়ে শেয়ার বাজার স্থিতিশীল হতে দেশীয় লগ্নি দরকার বলেই অর্থমন্ত্রকের কর্তারা বুঝতে পারছেন।
লগ্নিকারীদের আশ্বস্ত করতে আজ কেন্দ্রীয় অর্থসচিব রাজীব মহর্ষি বলেন, ‘‘এ দেশের অর্থনীতিতে গ্রিসের ঘটনার সরাসরি কোনও প্রভাব পড়বে না।’’ কিন্তু ইউরো ঋণপত্র থেকে পাওয়া রিটার্ন (বন্ড ইল্ড) বাড়তে থাকলে ভারত থেকে বিদেশি লগ্নি বেরিয়ে যেতে পারে বলেও তিনি আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন। মহর্ষি বলেন, ‘‘এ বিষয়ে কী করা যায়, তা ঠিক করতে আমরা রিজার্ভ ব্যাঙ্কের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছি।’’ মুখ্য অর্থনৈতিক উপদেষ্টা অরবিন্দ সুব্রহ্মণ্যমও আজ দাবি করেছেন, গ্রিসের সঙ্কটের খুব বড় ধাক্কা ভারতে লাগবে না। রফতানিতেও বিশেষ প্রভাব পড়বে না বলেই বাণিজ্য সচিব রাজীব খেরের দাবি। তাঁর যুক্তি, গ্রিসে খুব একটা ভারতীয় পণ্য রফতানি হয় না। তবে গ্রিসের সঙ্কটের জেরে সামগ্রিক ভাবে ইউরোপীয় ইউনিয়নে রফতানি কিছুটা কমতে পারে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy