জয়ন্তী নটরাজন
পরিবেশ ও বন দফতরের প্রাক্তন প্রতিমন্ত্রী জয়ন্তী নটরাজনের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগে এফআইআর দায়ের করল সিবিআই। চেন্নাইয়ে তাঁর বাসভবনেও হানা দেয় সিবিআইয়ের তদন্তকারী দল। অভিযোগ, তিনি প্রতিমন্ত্রী থাকাকালীন ঝাড়খণ্ডের সিংভূমে সারান্ডা অরণ্যের মধ্যে খননকাজ চালানোর অনুমতি দিয়েছিলেন একটি বেসরকারি সংস্থা ‘ইলেকট্রোস্টিল কাস্টিং লিমিটেড’ (ইসিএল)-কে।
সিবিআইয়ের অভিযোগ, ইউপিএ জমানায় নিজের ক্ষমতার অপব্যবহার করে এই কাজ করেন নটরাজন। খনি সম্পর্কিত আইন, পরিবেশ আইন এবং সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ অমান্য করেছিলেন তিনি। এফআইআরে আরও জানানো হয়েছে, ‘‘জয়ন্তী নটরাজন ৫৫.৭৯ একর বনভূমিতে অরণ্য-সম্পর্কিত নয়, এমন কাজের জন্য ব্যবহারের ছাড়পত্র দিয়েছিলেন ইসিএলকে। যদিও ইসিএলের ওই আবেদনই খারিজ করে দিয়েছিলেন আগের পরিবেশ ও বন প্রতিমন্ত্রী জয়রাম রমেশ।’’ নটরাজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ অবশ্য নতুন নয়। এমনই বেশ কিছু অনিয়ম ও বিভিন্ন বিতর্কিত প্রকল্পে ছাড়পত্র দেওয়ার অভিযোগে ২০১৫ সালে তাঁর বিরুদ্ধে পাঁচটি পৃথক তদন্ত শুরু করে সিবিআই।
একের পর এক অনিয়ম প্রকাশ্যে এসে যাওয়ায়, এক সময়ে তাঁকে প্রতিমন্ত্রীর পদ থেকে সরিয়ে দিয়েছিল কংগ্রেস। একবার তো কংগ্রেস সভানেত্রী সনিয়া গাঁধীকে বিস্ফোরক চিঠি লেখেন নটরাজন। তাতে দাবি করেন, রাহুল গাঁধীর নির্দেশেই মন্ত্রকের কিছু বড় প্রকল্প আটকে দিয়েছেন তিনি। পরে অবশ্য দলের মুখ রাখতে কংগ্রেসই নটরাজনের হয়ে মুখ খোলে। তারা বলে, নটরাজনের চিঠির বিষয়বস্তু ও যে সময়ে চিঠিটি পাঠানো হয়েছিল, তা দেখে মনে করা হচ্ছে বিজেপির সঙ্গে যুক্ত কিছু কর্পোরেট হাউস নটরাজনের উপর চাপ দিচ্ছিল। তার জেরেই ওই কাজ করে ফেলেছিলেন মন্ত্রী।
সিবিআইয়ের এফআইআরে ইসিএলের ডিরেক্টর উমঙ্গ কেজরীবালের নামও রয়েছে। সূত্রের খবর, শীঘ্রই জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডেকে পাঠানো হবে নটরাজনকে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy