বছর দু’য়েক টানাপড়েনের পর মন্ত্রিসভায় রদবদল করলেন মেঘালয়ের মুখ্যমন্ত্রী মুকুল সাংমা। বদলালেন দুই মন্ত্রী। প্রবীণ কংগ্রেস নেতা তথা উপমুখ্যমন্ত্রী রোয়েল লিংডো, স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রী এ এল হেককে মন্ত্রিসভা থেকে সরানো হল। গত কালই তাঁরা ইস্তফা দেন। আজ সকালে নতুন মন্ত্রী হিসেবে শপথ নেন মার্টিন এম ডানগু ও শাসক দলের চিফ হুইপ ভি লিংডো।
রোয়েল ও হেক জানান, তাঁরা দলের সিদ্ধান্ত মাথা পেতে নিয়েছেন। কোনও অসন্তোষ নেই। দুই প্রাক্তন মন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানান মুখ্যমন্ত্রী। রাজ্যে দু’টি উপমুখ্যমন্ত্রী পদ ছিল। রোয়েল ইস্তফা দেওয়ার পর আর সি লালু, এইচডিআর লিংডো ও পি টিংসং ওই পদের দাবিদার। তবে মুকুল জানান, আপাতত দ্বিতীয় উপমুখ্যমন্ত্রী করা হচ্ছে না।
২০১৩ সালে ক্ষমতায় আসে দ্বিতীয় এমইউএ সরকার। তার বছর দুয়েক পর থেকেই অন্য বিধায়করা মন্ত্রী হওয়ার জন্য চাপ বাড়াতে থাকেন। গত এক বছর ধরে মন্ত্রীত্বের দাবিদাররা দলে বিদ্রোহ শুরু করে দেন। মুকুলের বিরুদ্ধে এআইসিসির কাছে দরবারও চলে। অসম ও অরুণাচলের ঘটনা থেকে শিক্ষা নিয়ে এআইসিসি মন্ত্রিসভায় পরিবর্তনে সবুজ সঙ্কেত দিলেও ধীরে চলো নীতি নেয়। মুকুল অবশ্য এ দিন দলে বিদ্রোহের কথা উড়িয়ে দেন। জানান মন্ত্রিসভায় বদল রুটিন ঘটনা।
অন্য দিকে মণিপুরে মুখ্যমন্ত্রী ওক্রাম ইবোবি সিংহের এক সময়ের সঙ্গী ও প্রাক্তন কংগ্রেস মন্ত্রী বিজয় কোইজাম ‘মণিপুর ন্যাশনাল ডেমোক্র্যাটিক ফ্রন্ট’ নামে নতুন রাজনৈতিক দল গড়লেন। আগামী বছরের শুরুতেই মণিপুরে বিধানসভা নির্বাচন। কংগ্রেস ও বিজেপির সঙ্গে লড়তে তৈরি হচ্ছেন কোইজাম। নির্বাচন কমিশনের কাছে দলের স্বীকৃতির আবেদন জানিয়েছেন তিনি। কোইজাম দলের সহ-সভাপতি হয়েছেন। নতুন দলের সভাপতি চিংথাম প্রিয়কুমার। থোংজু কেন্দ্রের দু’বারের বিধায়ক কোইজাম স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী ছিলেন। পরে মুখ্যমন্ত্রী ওক্রাম ইবোবির সঙ্গে তাঁর সম্পর্কের অবনতি হয়। বছরের গোড়ায় দল ছাড়েন তিনি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy