বন্ধ ঘর থেকে উদ্ধার হল ব্যবসায়ী-সহ একই পরিবারের চার সদস্যের নিথর দেহ! সোমবার ভোরে কর্নাটকের মাইসুরুতে ঘটনাটি ঘটেছে। ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়। একই পরিবারের চার জনের রহস্যজনক মৃত্যুতে তদন্তে নেমেছে পুলিশ।
সোমবার ভোরে মাইসুরুর বিশ্বেশ্বরায় নগরের একটি বাড়ি থেকে চার জনের দেহ উদ্ধার হয়। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃতেরা হলেন ব্যবসায়ী তথা ইঞ্জিনিয়ার চেতন (৪৫), তাঁর স্ত্রী রূপালী (৪৩), মা প্রিয়ম্বদা (৬৫) এবং ছেলে কুশল (১৫)। ঘরের সিলিং থেকে ঝুলন্ত অবস্থায় চেতনের দেহ উদ্ধার হয়। মাথাটি মোড়ানো ছিল পলিথিনের ব্যাগে। ঘরের মেঝেতে হাত-পা বাঁধা অবস্থায় পড়েছিল ছেলে কুশলের দেহ। একই ভাবে পাওয়া গিয়েছে প্রিয়ম্বদা ও রূপালীর দেহ। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান, চেতন ছাড়া পরিবারের বাকি সদস্যদের শ্বাসরোধ করে খুন করা হয়েছে। সম্ভবত পরিজনদের নিজে হাতে খুন করার পরেই আত্মহত্যা করেছেন চেতন। তবে কয়েকটি সূত্রের দাবি, আত্মহত্যার আগে পরিবারের বাকি সদস্যদের বিষও খাইয়েছিলেন চেতন। মৃতদের দেহগুলি ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট এলেই মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানা যাবে।
আরও পড়ুন:
কিন্তু কী কারণে একই পরিবারের চার সদস্য আচমকা এমন সিদ্ধান্ত নিলেন, সে জট নিয়ে এখনও কাটছে না। পুলিশের অনুমান, সম্প্রতি আর্থিক সঙ্কটে ভুগছিল ওই পরিবার। সে কারণেও আত্মহত্যার সিদ্ধান্ত নিয়ে থাকতে পারেন তাঁরা। অন্য দিকে, সোমবার ভোরের ওই ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়। স্থানীয় সূত্রেই জানা গিয়েছে, আত্মহত্যার আগে ভোর ৪টে নাগাদ তাঁর আমেরিকা-নিবাসী ভাই ভরতকে ফোন করেছিলেন চেতন। ভরতের দাবি, ফোনে চেতন তাঁকে বলেন, ‘‘আমরা আত্মহত্যা করে মারা যাব।’’ এর পরেই ফোনটি কেটে যায়। আতঙ্কিত হয়ে তড়িঘড়ি চেতনের শ্বশুরবাড়ির লোকজনকে খবর দেন ভরত। কিন্তু যত ক্ষণে চেতনের শাশুড়ি তাঁদের বাড়িতে পৌঁছন, তত ক্ষণে সব শেষ! খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে পুলিশের বিভিন্ন দল। ঘটনাস্থল সরেজমিনে দেখেছেন পুলিশ কমিশনার সীমা লাটকার, ডেপুটি পুলিশ কমিশনার (অপরাধ ও ট্রাফিক) এস জাহ্নবী এবং বিদ্যারণ্যপুরমের ইন্সপেক্টর মোহিত-সহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা। বিদ্যারণ্যপুরম থানায় মামলা দায়ের করে শুরু হয়েছে তদন্ত।