বিধানসভা নির্বাচনে জিতে দিল্লিতে সদ্য ক্ষমতায় এসেছে বিজেপি। ক্ষমতায় এসেই নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি মেনে শুরু হল যমুনা নদী পরিষ্কারের কাজ। রবিবার দুপুরে ট্র্যাশ স্কিমার্স, ওয়াটার উইড হারভেস্টার এবং ড্রেজ ইউটিলিটি ক্রাফটের মতো অত্যাধুনিক যন্ত্রের সাহায্যে শুরু হল নদী থেকে আবর্জনা অপসারণের ‘অভিযান’!
দিল্লিতে ভোটপ্রচার পর্বে বার বারই আলোচনার কেন্দ্রে থেকেছে যমুনার জল! কখনও যমুনার জলে বিষ মেশানোর অভিযোগ তুলেছেন আপ প্রধান তথা দিল্লির প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরীওয়াল, কখনও আবার যমুনার দূষণ নিয়ে পাল্টা তোপ দেগে আপের বিরুদ্ধে আক্রমণ শানিয়েছে বিরোধীরা। তবে সব দলই ভোটের আগে নিরন্তর প্রতিশ্রুতি দিয়ে গিয়েছে, ক্ষমতায় এলে তাদের হাত ধরেই শুরু হবে যমুনা নদী পরিষ্কারের কাজ! ক্ষমতায় এসে শেষমেশ সেই পথেই হাঁটল বিজেপি।
আরও পড়ুন:
রবিবার দিল্লিতে যমুনা নদী পরিষ্কারের কাজ শুরু হয়েছে। এ নিয়ে বৃহস্পতিবার রাজ্যের মুখ্যসচিব এবং অতিরিক্ত মুখ্যসচিবের সঙ্গে একটি বৈঠকও করেছিলেন দিল্লির উপরাজ্যপাল ভিকে সাক্সেনা। সেই বৈঠকের পরেই অবিলম্বে পরিষ্কারের কাজ শুরু করার নির্দেশ দেওয়া হয়। বিভিন্ন সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, যমুনা পরিষ্কারের লক্ষ্যে চতুস্তরীয় কৌশলও গ্রহণ করা হয়েছে। প্রথম স্তরে, যমুনা নদীতে জমে থাকা আবর্জনা, পলি এবং অন্যান্য ময়লা অপসারণ করা হবে। এর পর বড় বড় ড্রেনগুলি পরিষ্কারের কাজ শুরু হবে। তৃতীয়ত, পয়ঃনিষ্কাশন শোধনাগারগুলির (এসটিপি) ক্ষমতা ও কার্যকারিতা নিয়মিত যাচাই করে দেখা হবে। সব শেষে, দৈনিক প্রায় ৪০০ এমজিডি (মিলিয়ন গ্যালন) পয়ঃনিষ্কাশন ব্যবস্থার ঘাটতি পূরণের জন্য নতুন এসটিপি/ ডিএসটিপি নির্মাণ করা হবে।
আরও পড়ুন:
আগামী তিন বছরের মধ্যে যমুনা পরিষ্কারের লক্ষ্যমাত্রা নিয়েছে বিজেপি। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে এই যমুনা-সাফাই অভিযান সুষ্ঠু ভাবে সম্পন্ন করার জন্য দিল্লি জল বোর্ড, সেচ ও বন্যা নিয়ন্ত্রণ বিভাগ, পৌর কর্পোরেশন, পরিবেশ বিভাগ, গণপূর্ত বিভাগ এবং দিল্লি উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ-সহ বেশ কয়েকটি সংস্থা এক সঙ্গে কাজ করবে। সঙ্গে কারখানাগুলি থেকে নর্দমা মারফত যমুনায় মেশা অপরিশোধিত বর্জ্যের উপর কড়া নজরদারি করবে দিল্লি দূষণ নিয়ন্ত্রণ কমিটি (ডিপিসিসি)।